
Saimon Sweety
|Subscribers
Liked videos
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন জড়িয়ে
রয়েছে
এক
গৌরবময়
ইতিহাস
— ১৯৭১
সালের
মুক্তিযুদ্ধ। এ
যুদ্ধ
ছিল
একটি
জাতির
আত্মপরিচয়, ভাষা,
সংস্কৃতি ও
স্বাধীন অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য
এক
মহাকাব্যিক সংগ্রাম। লাখো
শহীদের
আত্মত্যাগ, লক্ষ
মা-বোনের নির্যাতনের ইতিহাস
আর
কোটি
মানুষের স্বপ্ন
ও
বেদনায়
গাঁথা
এই
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের
জাতীয়
অস্তিত্বের শিকড়।
অথচ
আজকাল
দেখা
যায়,
কিছু
রাজনৈতিক গোষ্ঠী
ও
ব্যক্তি স্বাধীনতার এই
ইতিহাসকে নিজেদের স্বার্থে বিকৃত
করে,
যা
নিঃসন্দেহে দেশের
অস্তিত্বের জন্য
এক
ভয়ঙ্কর
হুমকি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের অভাব, এবং বৈষম্যমূলক আয় বণ্টনের বাস্তবতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ — বিশেষ করে একজন দিন মজুর। প্রশ্ন আসে, একজন দিন মজুরের জীবন ও বর্তমান বাজারের বাস্তবতা কি একসাথে চলে? বাস্তবতা বলছে—না, কখনোই না।
বাংলা
সাহিত্যের এক
অনন্য
রত্ন,
আমাদের
জাতীয়
কবি
কাজী
নজরুল
ইসলাম।
যিনি
শুধু
একজন
কবি
ছিলেন
না,
ছিলেন
এক
দুরন্ত
ঝড়,
এক
জাগ্রত
আগ্নেয়গিরি, এক
বিপ্লবী চেতনার
প্রতীক। নজরুল
ছিলেন
বিদ্রোহী কবি,
প্রেমের কবি,
মানবতার কবি—তবে তার চেয়েও
বড়
কথা,
তিনি
ছিলেন
বৈষম্যের শিকার
এক
নিপীড়িত প্রাণ,
যার
জীবনের
প্রতিটি স্তর
সমাজের
নানা
রূপ
বৈষম্য
ও
বঞ্চনার কষাঘাতে রক্তাক্ত ছিল।
ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান অর্থনৈতিক মান উন্নয়নে এক
নির্ভর যোগ্য সহায়ক ,ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান বলতে সাধারণত সেইসব উদ্যোগ বা কাজকে বোঝানো হয় যেগুলো সীমিত মূলধন, অল্প জনবল এবং স্থানীয় স্তরে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, হস্তশিল্প, কৃষি-ভিত্তিক উদ্যোগ, গ্রামীণ শিল্প, সেবা খাত, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। এ ধরনের কর্মসংস্থানে যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক মান তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যপক সহায়তা করে।
হস্তশিল্প
রাত—মানুষের বিশ্রামের সময়। সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে মানুষ প্রত্যাশা করে একটুখানি নিঃশব্দ ঘুম, যাতে শরীর ও মন নতুন দিনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। কিন্তু আধুনিক নগর জীবনের এক নির্মম বাস্তবতা হলো—এই নীরব রাতেই আবাসিক এলাকায় শুরু হয় ভারী যানবাহনের চলাচল এবং নির্মাণ সামগ্রী লোড-আনলোডের কাজ। এই অনিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ শুধুমাত্র পরিবেশদূষণ নয়, বরং এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি।
আজকের বাংলাদেশে একটি বড় উদ্বেগজনক বিষয় হলো অনুমতি বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ ও বিক্রয়। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই অননুমোদিত ও অস্বীকৃতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা শুধুমাত্র আইন লঙ্ঘনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য এক মারাত্মক হুমকি।
গ্যাস সিলিন্ডার একটি দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থ। এটি ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও মান নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অথচ আমাদের দেশে অনেক দোকানদার বা ডিলার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে চলেছেন। তারা জানেন না সিলিন্ডারটির গুণগত মান কেমন, এটি পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা, কিংবা এটি এক্সপায়ার কিনা। এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
শাহবাগ
ভারত
ও
পাকিস্তানের মধ্যে
নতুন
করে
তীব্র
সামরিক
উত্তেজনা দেখা
দিয়েছে,
যা
দক্ষিণ
এশিয়াকে আবারও
যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে
দাঁড়
করিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার
প্রতিক্রিয়ায় ভারত
বড়
পরিসরের সামরিক
অভিযান
চালিয়েছে পাকিস্তান-অধিকৃত
কাশ্মীর এলাকায়। পাল্টা
জবাবে
পাকিস্তানও শক্ত
প্রতিরোধ গড়ে
তোলে।
দুই
পক্ষের
পাল্টাপাল্টি হামলায়
এখন
পর্যন্ত অন্তত
শতাধিক
মানুষের প্রাণহানির খবর
পাওয়া
গেছে।
#গণপরিবহন #সম্মানবোধ #পারিবারিক_শিক্ষা #মানবিকতা #বয়স্কদের_সম্মান #নারীর_সম্মান #humansense #socialawareness #respectinpublic #banglaessay #moraleducation
হিউম্যান সেন্স বা মানবিক বোধ এমন এক বিষয়, যা আমাদের ভিতর থেকে উৎসারিত হয়। এটি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াও আমাদের বিবেকের মাধ্যমে কাজ করে। একজন মানুষ যদি দেখে, তার পাশেই একজন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছেন আর সে নিজে বসে আছে—তবে অন্তরের একটা কণ্ঠস্বর তাকে বলে ওঠে, “ওনার জায়গাটা ছেড়ে দাও।” এই কণ্ঠস্বরই হিউম্যান সেন্স। তবে দুঃখজনকভাবে, আজকের ব্যস্ত, প্রতিযোগিতামূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে এই বোধটিই ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
যখন উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, ভারত ও পাকিস্তান, সীমান্তে একে অপরের দিকে চোখ রাঙায়, তখন আর দশটা দেশের মতোই গোটা বিশ্ব দম বন্ধ করে অপেক্ষা করে—এবার কী হয়! কিন্তু একমাত্র দেশ যাকে আপনি সবকিছুর মধ্যেই নাক গলাতে দেখেন, হঠাৎ করেই তার মুখে তালা। হ্যাঁ, আপনি ঠিক ধরেছেন—আমরা বলছি যুক্তরাষ্ট্রের কথা।
সম্প্রতি এক হাই-প্রোফাইল প্রেস ব্রিফিংয়ে, সাংবাদিক যখন মুখ গোমড়া করে জিজ্ঞেস করলেন, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?"—তখন মুখে অনাবিল হাসি ছড়িয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বললেন, “এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা ওদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।”
২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ভারতীয় কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জবাবে ভারত "অপারেশন সিন্ধুর" নামে একাধিক বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। পাকিস্তান এই হামলাকে "যুদ্ধের ঘোষণা" বলে প্রতিক্রিয়া জানায়।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কারণে। এ অবস্থায় আলোচনায় এসেছে ইরান—একটি প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তি, যেটি অতীতে কখনো কখনো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আগ্রহ দেখিয়েছে।
১৯৪৭-এ ভাগ হওয়া মানচিত্র এখনো বিভক্ত শুধু কাগজে নয়, মগজেও। ভারত-পাকিস্তান — দুই দাদার লড়াই যেন এক চিরন্তন রাগিণী, যেখানে প্রতিটি যন্ত্র হলো যুদ্ধাস্ত্র, আর প্রতিটি সুর হলো সন্দেহ। এমনই এক অপূর্ব অপেরা সম্প্রতি বেজে উঠল আকাশে, ড্রোনের গর্জনে আর রাফালের ধ্বংসাবশেষে।
উভয় দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতে জরুরি প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তান পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এই পরিস্থিতি ২০১৯ সালের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুতর সংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
অতীতের ছায়া যখন বর্তমানের ঘাড়ে:
যখন আমরা দেখি একজন স্বৈরাচারী নেতা ইতিহাসের মতোই আবার ক্ষমতায় উঠে আসেন, যখন যুদ্ধের নামে আবার ধ্বংস নেমে আসে কোন এক দেশে, তখন আমরা বুঝতে পারি—সময় আসলে ঘুরে ফিরে সেই পুরনো পথে হেঁটে চলেছে। আমরা ভুলে যাই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল, উপনিবেশবাদ কতটা ধ্বংস এনেছিল, কিংবা গণআন্দোলন কীভাবে নিস্তব্ধ করা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল ইতিহাসের এক ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছাস চট্টগ্রামের উপকুল দিয়ে বয়ে যায়।তাতে অনেক লোক মারা যান এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হয়।
তাই আজও এই দিনটি স্নরণে বিভিন্ন কার্যক্রম ও দোয়া অনুষ্টিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ভারত, আধুনিক যুগে নিজেকে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার আড়ালে ভারতের অনেক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আগ্রাসী মনোভাব, আন্তর্জাতিক সংস্থায় মিথ্যা ইমেজ নির্মাণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিশ্ব শক্তির কাছে দ্বিচারিতার মাধ্যমে ভারত তার বৈশ্বিক অবস্থান শক্ত করার হীন চেষ্টা করে চলেছে। আজকের আলোচনায় আমরা এই বিষয়গুলোর বিশ্লেষণ করবো।
তথ্যসূত্র
UN Human Rights Council Reports
Amnesty International, 2024 Reports
Global Hunger Index, 2024
Press Freedom Index, 2024
BBC, The Guardian, Al Jazeera রিপোর্ট
বাংলাদেশ — একটুকরো সাহসের নাম। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও, যখন আমরা বিশ্বে উন্নয়নের এক বিস্ময় হিসেবে পরিচিত হচ্ছি, তখনও ভারতের কিছু রাজনৈতিক ও মিডিয়া মহলে আমাদের নিয়ে একধরনের হীন মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। আজ আমরা খুঁজে দেখবো, এই মনোভাবের আসল কারণ কী
প্রবাসীদের জীবনচিত্র কেবল সফলতার গল্পে সীমাবদ্ধ নয়, তার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক সমুদ্র কান্না, পরিশ্রম আর ত্যাগ। তাদের এই অদেখা মানবেতর জীবনকে সামনে এনে তাদের প্রতি সহমর্মী হওয়া, তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবনের মান উন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। কারণ তাদের হাতেই গড়ে উঠছে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ভিত; তাদের চোখের জল মুছে দিয়ে সত্যিকারের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।