ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
Shorts skab

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তথা মৌজা শাখাতীর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ তুলেছে যে, ভূমি দস্যু রওশন বাহিনী প্রতিনিয়ত জবর দখল সহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোহাম্মদ আলী লালমনিরহাট জেলা জজ কোটে মামলা নং এমআর ৩৬৯/২৫(কালী), অজেম্যাজি-আ/৯৫৬/২৫ তাং /৯/২৫ইং দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় ১৪৪/১৪৫ ধারা জারী থাকলেও পুলিশি কোন সহায়তা পাননি বলে জানান তিনি। অদ্য ২৩ইং সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় রওশন বাহিনী দেশীয় অস্ত্র/লাঠিশোঠা নিয়ে এসে আমাদের উপর আক্রমন করিলে আমরা কালীগঞ্জ থানায় অবগত করি থানা থেকে কোন সারা পায়নি আমরা। অতঃপর আমাদের পিটিয়ে গুরতর যখম করে ট্রাকক্টর দিয়ে মাটি/বালু উত্তলন করে নিয়ে যায়। ইতঃপূর্বে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তলনের চেষ্টা করলে আমরা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লেখিত অভিযোগ করিলে ভেকু সরিয়ে নিয়ে যায়। আজ তা আবার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বাধা দিয়ে গেলেও সন্ত্রাস বাহিনী মাটি/বালু উত্তলন করে ট্রাকক্টর দিয়ে নিয়ে যায় আমরা বাধা দিলে আমাদের বাড়ীতে এসে আক্রমন চালায়।

মোঃ বাপ্পারাজ খান (পাংশা প্রতিনিধি)
সার সংকটে যখন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা দিশেহারা, ঠিক তখনই ২৬ বস্তা ডি এ পি সার শৈলকুপা উপজেলায় পাচার করা কালে কৃষকের হাতে আটক।
(২৮ আগস্ট ) বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেয়াগ্রাম খুলুমবাড়ী খেয়াঘাট দিয়ে দুটি ভ্যান গাড়িতে ২৬ বস্তা ডি এ পি সার নিয়ে গড়াই নদীর খেয়া ঘাটপার হয়ে খুলুমবাড়ী বাজারের দিকে যাচ্ছে দেখে ঐ এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সাংবাদিক ও পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ বাপ্পারাজ খান'কে খবর দেন।মোঃ বাপ্পারাজ খান তাৎক্ষণিক খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালকের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান এই সার বাগলী বাজার জাহিদ বিশ্বাস এর গোডাউন থেকে এনেছি। কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে ভ্যানচালক জানান, খুলুমবাড়ী বাজারে সাম কুন্ডুর ঘরে যাবে।
ঐ সাংবাদিক বিষয়টি জানতে তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে সার এর ডিলার জাহিদ বিশ্বাস'কে ফোন দিলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন।
তখন ঐ সাংবাদিক তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ীসহ একটি পোষ্ট দিলে বিষয়টি পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নজরে আসে। পাংশা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে সার বোঝাই ভ্যানগাড়ী আটক করে বাগলী বাজারে জাহিদ বিশ্বাসের দোকানে নিয়ে আসেন।
সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবে আরেক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বাগলী বাজারে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঐ সাংবাদিক'কে জানান, আমরা বিষয়টি আপাতত ক্ষমার চোখে দেখতে চাই। আপনারা ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস তুলে নিন। তার কথায় ঐ সাংবাদিক রেগে গেলে, তখন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন কথার প্রঙ্গ পাল্টিয়ে বলেন, আমরা অবশ্যই ডিলার জাহিদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক তরুন জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ সারের ডিলারী করছেন। এখনো কিভাবে তার ডিলারী থাকে? মতিন, রতন, আরিফ, ও শিবলু আরো অন্যান্য ব্যক্তিরা জানান আমরা সার আনতে গেলে সার দেয় না। আরো বলেসার এখন নাই তা ছাড়া ও জাহিদ বিশ্বাস সার বিক্রি করে বস্তুা প্রতি ২০০থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে সার ডিলার জাহিদ বিশ্বাস নিজ ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সার বিক্রি করেন সরিষা ইউনিয়নের বাগলী বাজারে। কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা সার আনতে বাগলী বাজারে গেলে, ডিলার সার নেই বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই সার নিয়ে নয় ছয় করে আসছেন। আমরা তার ডিলারী বাতিল করতে অবিলম্বে নতুন ডিলার চাই।


গতকাল সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব খাইরুল হক সাহেবের মামলার শুনানির এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ডিএজি এডভোকেট রাসেল কোর্টকে ধমকের সুরে জানান— “আজ শুনানি হবে না, এক সপ্তাহ পরে করতে হবে।”
এ সময় খায়রুল হক সাহেবের পক্ষের আইনজীবীগণ— কামরুল হক সিদ্দিকী, মহসিনুর রহমান, জেড আই খান পান্না, এম কে রহমান, মনসুরুল হক চৌধুরী, মঞ্জিল মোর্শেদ প্রমুখ আপত্তি জানিয়ে বলেন— “আপনি কোর্টকে ডিকটেট করতে পারেন না, আপনার সাবমিশন দিতে পারেন।”
ঠিক তখনই এজি জসিম, ইব্রাহিম খলিল, উজ্জ্বলসহ কয়েকজন বেঞ্চ থেকে লাফিয়ে উঠে বিচারপতির সামনেই আইনজীবীদের ওপর চড়াও হন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্তা, এমনকি আইনজীবী বেলায়েত হোসেনকে মারধোর পর্যন্ত করা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বিচারপতি বাধ্য হয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে পরবর্তী রবিবার ধার্য করেন।
এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়— রাষ্ট্রপক্ষ আগে থেকেই কিছু “আইনজীবী” নামধারী মব সন্ত্রাসী নিয়োগ দিয়েছে, যাদের ভয়ে সাধারণ আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচারপতিরাও হামলা ও হেনস্তার শঙ্কায় থাকেন। ইতিপূর্বে বিচারপতিকে ডিম নিক্ষেপ ও এজলাস ভাঙচুর-এর ঘটনাও ঘটেছে। এখন তো প্রকাশ্য আদালতে সিনিয়র আইনজীবীরাও নিরাপদ নন।
বর্তমানে বিচারালয়ে বিএনপির এই অসভ্য আচরণই বলে দেয় কেন এদেরকে এতদিন কড়া শাসনে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা!
এস.এম হাসিবুল হাসান হাদী
আই নিউজ বিডি