আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একটি গুরুত্বপূর্ণ গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শনিবার ঢাকায় এক বিশেষ ‘মক ভোটিং’ মহড়ার আয়োজন করে। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটের প্রক্রিয়াকে ত্রুটিমুক্ত ও দক্ষ করে তোলা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মহড়া চলে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ৫১০ জন নিবন্ধিত ভোটার এই ‘নকল’ ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা হয় একেবারে প্রকৃত নির্বাচনের আবহে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু এটি একটি বিরল পরিস্থিতি, যেখানে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তাই প্রক্রিয়াটি আরও দক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করা অপরিহার্য। তিনি জানান, এই মহড়া ইসির কর্মীদের পাশাপাশি ভোটারদেরও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করবে।
যদিও মক ভোটিংয়ে ব্যালট পেপারে কোনো রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা প্রতীকের নাম ছিল না, তবুও ভোটের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা বজায় রাখা হয়। ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে গোপন কক্ষে ভোটদান, এবং শেষে ফলাফল প্রকাশ—সবকিছুই অনুসরণ করা হয়েছে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী। কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা ভোটকক্ষের ব্যবস্থা ছিল। ভোট দিয়ে আসা একজন ভোটার জানান, গণভোটের বিষয়টি নতুন হলেও এটি একটি ভালো অভিজ্ঞতা। তবে তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে গণভোট নিয়ে আরও প্রচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। ইসির এই উদ্যোগটি দ্বৈত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।



















