'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
ট্রাম্পের রাশিয়া-বিরোধী কড়া অবস্থান: আসছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা!
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর এবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ থামানো না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।
শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন—
“রাশিয়া এ মুহূর্তে ইউক্রেনের ওপর ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। এই বাস্তবতার ভিত্তিতে আমি রাশিয়ার ওপর কঠোর ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক এবং অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছি, যতক্ষণ না তারা যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায়।”
তিনি আরও বলেন—
“বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আলোচনার টেবিলে আসুন। ধন্যবাদ!!”
রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা ও ইউক্রেনের বিপর্যয়
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। মূল লক্ষ্য ছিল জ্বালানি অবকাঠামো ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র। হামলায় শিশুসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। রাশিয়া প্রায় ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে এসব অবকাঠামোর ওপর।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জাপান মিলে রাশিয়ার ওপর ২১,০০০ এর বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তন? ইউরোপ ক্ষুব্ধ!
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পকে রাশিয়া ঘেঁষা নীতিতে দেখা গেছে। তিনি ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করেন।
এমনকি, ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা স্থগিতও করেছিলেন। এর ফলে ইউরোপীয় নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে আরও বেশি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়।
শুক্রবার ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের তৈরি জঙ্গিবিমান ব্যবহার করেছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ট্রাম্পের হুমকি ও আসন্ন বৈঠক
ট্রাম্পের এই নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে চাইছেন এবং আন্তর্জাতিক মহলে শক্তিশালী বার্তা দিতে চাইছেন।
এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে আরও বড় চাপে পড়তে পারে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার বিষয়, রাশিয়া ও ইউক্রেন এই হুঁশিয়ারির পর কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
