তৌশিফুর রহমান রাফার নেতৃত্বে বাউফলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

বাউফলের ধূলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ধূলিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা, বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত এবং প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ পথচারীদের। অথচ বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঠিক এই সংকটময় পরিস্থিতিতেই এগিয়ে আসে স্থানীয় যুব সমাজ। নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌশিফুর রহমান রাফা। আজ শনিবার দুপুরে তার উদ্যোগেই শুরু হয় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজ। দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করাই ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগে অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতা রাফা বলেন, "জনদুর্ভোগের বিষয়টি আমরা উপেক্ষা করতে পারিনি। তাই আমরা কয়েকজন ছাত্র স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার গর্তগুলো ভরাটের সিদ্ধান্ত নেই। নিজের টাকায় ইটের খোয়া ও বালু কিনে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ্য পুরো রাস্তাটিকে চলাচলের উপযোগী করে তোলা।" এই উদ্যোগ কেবল একটি রাস্তা মেরামতের গল্প নয়; এটি স্থানীয় যুব সমাজের দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যেখানে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ছাত্র ও তরুণরা এগিয়ে এসে প্রমাণ করেছে— প্রকৃত দেশপ্রেম কেবল কথায় নয়, কাজে প্রকাশ পায়। তৌশিফুর রহমান রাফা: এক উদ্যমী তরুণ নেতা রাজনীতির মঞ্চে তৌশিফুর রহমান রাফা একজন প্রতিশ্রুতিশীল যুবনেতা। বাবার উত্তরাধিকার এবং পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে রাজনীতির প্রধান কাজ হিসেবে দেখেন। নেতৃত্বগুণ এবং সংগঠক হিসেবে তার দক্ষতা ইতোমধ্যেই প্রশংসিত। তার এই উদ্যোগ প্রমাণ করেছে, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলা নয়, এটি মানুষের জন্য কাজ করার এক অনন্য সুযোগ। রাফার এই স্বেচ্ছাশ্রমী উদ্যোগকে স্থানীয়রা ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। এলাকার একজন বৃদ্ধ বলেন, "আমরা বহুবার স্থানীয় প্রশাসনের দোরগোড়ায় গেছি, কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি। অথচ এই ছেলেরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা মেরামত করছে, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।" যেখানে দেশের রাজনীতিতে অনেক সময় নেতিবাচক আলোচনা সামনে আসে, সেখানে তৌশিফুর রহমান রাফার মতো তরুণ নেতারা আশার আলো দেখাচ্ছেন। উন্নয়ন ও জনসেবার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেখিয়েছেন, তা ভবিষ্যতে তাকে একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি তরুণকে সমাজসেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত করবে। একজন প্রকৃত নেতা শুধু বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ থাকেন না, তিনি বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করেন। তৌশিফুর রহমান রাফা সেই ধরনের এক নেতা, যার মধ্যে রয়েছে সততা, সাহস এবং জনগণের প্রতি অঙ্গীকার। বাউফলের এই সড়ক সংস্কার প্রমাণ করে, সমস্যা সমাধানের জন্য শুধুমাত্র সরকার বা প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে থাকা উচিত নয়। যুব সমাজ যদি এগিয়ে আসে, তবে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। তৌশিফুর রহমান রাফা ও তার দলের এই উদ্যোগ শুধু একটি রাস্তার উন্নয়ন নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ধরনের আত্মনিবেদিত তরুণ নেতৃত্বই একদিন বাংলাদেশকে পরিবর্তন করবে। রাফার মতো নেতাদের প্রয়োজন, যারা মাঠে নেমে কাজ করবে, জনগণের কষ্ট অনুভব করবে এবং দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেবে। তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ, যেখানে দায়িত্ববোধ ও নেতৃত্ব একসাথে পথ চলবে।