close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টাকার বস্তা নিয়ে স্বজনদের হাসিনা আগেই ভাগিয়ে দিয়েছেন: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুরে এক উঠান বৈঠকে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনদের দুর্নীতির অর্থসহ দেশ থেকে আগেই পার করে দিয়েছেন এবং তিনি 'গণশত..

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে নারী ভোটারদের নিয়ে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ‘টাকার বস্তা’ নিয়ে আগেই দেশ থেকে নিরাপদে ভাগিয়ে দিয়েছেন।

অতীতে 'পালিয়ে যাওয়া' ও বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপট

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি তার বক্তব্যে বলেন, অতীতে বলা হতো 'হাসিনা পালায় না', কিন্তু পরে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তবে আওয়ামী লীগের সবাই পালাতে পারেনি। তার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু তার আত্মীয়-স্বজনদের আগেই দেশ পার করে দিয়েছেন [সূত্র: এ্যানির বক্তব্য]। এই আত্মীয়-স্বজনদের তিনি এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছিলেন এবং তাদের উপার্জিত 'টাকার বস্তা' নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অনেকে পালাতে না পেরে জেলে গেছেন এবং তারা এখনো দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্র করছেন।

পালাবার কারণ: দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসন

এ্যানি প্রশ্ন তুলে বলেন, "একটা বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হবে কেন?" নিজেই এর জবাব দিয়ে তিনি বলেন যে, ভালো কাজ না করা, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসনই এর মূল কারণ। তিনি অভিযোগ করেন, "ওই যে মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনীর স্টাইলে কাজগুলো করে মানুষকে শান্তি দেয়নি।" তার মতে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, হামলা, গুম-খুন ও হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার ফলেই হাসিনা "গণশত্রু, গ্রামের শত্রু এবং দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।"

'লকডাউন' ও বিচারের রায় নিয়ে মন্তব্য

বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর বিচার শুরু হওয়ায় দেশে একটি 'লকডাউন' দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ১৭ নভেম্বর এই বিচারের রায় দেওয়া হবে। তিনি বলেন, "লকডাউন দিছে, কিন্তু তাদের কর্মসূচিতে পাবলিক নেই।" তার মতে, জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নেই এবং লকডাউন করতে নামেওনি।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে দেখানো হচ্ছে যে তাদের 'লকডাউনে' মিছিল হচ্ছে। তিনি এই চিত্রকে 'এআই ছিল', 'প্রকৃত না', 'বাস্তব না' এবং 'ভুয়া' বলে অভিহিত করেন।

তবে এ্যানি স্বীকার করেন যে, কিছু চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে, যেখানে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে বা পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একটি পূর্বের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যারা গাড়িতে বাসে আগুন দেবে, তাদের ধরে ধরে ওই আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।

এ্যানি এই বক্তব্যটি উপস্থিত নারী ভোটারদের কাছে জানতে চান, এখন কী করা দরকার? উত্তরে উপস্থিত নারীরা বলে ওঠেন—"তাকে (হাসিনা) এনে আগুনে ফেলে দিতে"। এই প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে এ্যানি এটিকে "হাসিনার অপকর্ম" বলে অভিহিত করেন। তিনি মনে করেন, বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এবং "যুদ্ধ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ চলছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের গৌরিনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আবুল হাশেম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

Geen reacties gevonden


News Card Generator