শেরপুরে সংবাদের জেরে সরেজমিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী দল..

Md Barhan Uddin avatar   
Md Barhan Uddin
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। বগুড়ার শেরপুরে বাঙালী নদীর ভয়াবহ ভাঙন পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে পাউবোর একটি প্রকৌশলী দল।..

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন তাঁরা এবং গ্রামবাসীকে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এর আগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘শেরপুরে বাঙালী নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়

সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সুঘাট ও সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকায় ছুটে আসেন বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগ-২-এর উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল ও শেরপুর শাখার কার্যসহকারী মাসুদ রানা। প্রকৌশলী দল নদী তীরবর্তী অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা হেঁটে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ের মাটি ধসে পড়ছে। এতে সুঘাট ইউনিয়নের চকপাহাড়ি গ্রামের প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার এলাকা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ বহু বসতবাড়ি।

এছাড়া সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ঘাশুড়িয়া গ্রামের ৪০০ মিটার এবং নলুয়া গ্রামের ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের আগে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। সরেজমিনে এসে ভাঙনের সত্যতা পেয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেছি। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চকপাহাড়ি গ্রামের বৃদ্ধা ফুয়ারা খাতুন (৬৫), ঘাশুড়িয়া গ্রামের নূরে আলম, মো. মনিরুজ্জামান ও গোলাম মোহাম্মদ। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মকর্তাদের জানান, এক বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কুফল এখন তাঁরা ভোগ করছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, খননের সময় মূল নকশা না মেনে লোকালয়ের দিকে নদী গভীর করা হয়েছিল। তখন অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এলাকাবাসীর দাবি, তখন অভিযোগ আমলে নিলে আজ এই দুই ইউনিয়নের মানুষকে ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাতে হতো না।

No se encontraron comentarios


News Card Generator