close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতকানিয়ায় জোর-পূর্বক জমি-দখলের অভিযোগ

Monjur Alam avatar   
Monjur Alam
সাতকানিয়া উপজেলার ১৬নং সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জোর-পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ..

সাতকানিয়ায় জোর-পূর্বক জমি দখল

চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস:

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬নং সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চিব্বাড়ী পরানের পাড়া এলাকা সংগল্ন দোকানের দক্ষিণ পাশে চিব্বাড়ী স্কুল রোড সড়কে ১২৩৫ দাগের চিব্বাড়ী মৌজার, বিএস: ৩৬৩ নং খতিয়ানের জমি'টি জোর-পূর্বক দখলের অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১৬নং সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো: তারেকুল ইসলাম উল্লেখিত জমির খতিয়ানভুক্ত মৌরশী মালিক হওয়ার পর তার ভোগ-দখলীয় জমি 
গত ২৮শে অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক ৭ ঘঠিকার সময় উক্ত জমি জোর-পূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য সকলে পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্তক্রমে জমির চারপাশে দেওয়া স্থিত ঘেড়া-বেড়া ও সীমানা পিলার ভাংচুর করে নিয়ে যায়। পরে তারা (অভিযুক্ত)রা জমির চারপাশে নতুন ভাবে সীমানা পিলার ও কাটা-তারের ঘিরে দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, অভিযুক্ত'রা হলেন: যথাক্রম: ১/ মো: লোকমান (৫০) পিতা: শফি সওদাগর ২/ মো: গিয়াস উদ্দিন পিতা: ঐ ৩/ ফৌজুল কবির পিতা: আবদুল কাদের ৪/ মো: কফিল পিতা: ফৌজুল কবির ৫/ জালাল উদ্দিন পিতা: নুরুল ইসলাম ৬/ মো: খোরশেদ ঐ সর্বসাং চিব্বাড়ী ৪নং ওয়ার্ড পরানের পাড়া।

এ বিষয়ে অভিযোগ কারীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, গত ২৮শে অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক ৭ ঘঠিকার সময় আমার খতিয়ানভুক্ত জমি পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্তক্রমে জমির চারপাশে দেওয়া স্থিত ঘেড়া-বেড়া ও সীমানা পিলার ভাংচুর করে নিয়ে যায়। আমার খতিয়ানভুক্ত জায়গার চারপাশে সীমানা প্রাচীর থাকলেও জায়গাটি রাস্তার সাথে লাগানো হওয়ায় স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের পরামর্শে! কতিপয় কিছু বৃত্ত-বানদের কুনজর পড়ে জমিটির উপর। কোন কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাই না করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক শরীরের পেশি-শক্তি ও বাহু-বল প্রয়োগ করে জোর-পূর্বক দখল করেছে। শুধু তাইনা দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। জমির চারপাশে নতুন ভাবে সীমানা পিলার ও কাটা তারের ঘিরে দিয়ে জোর-পূর্বক অবৈধ-ভাবে তাদের দখলে নেয়।

তিনি আরো বলেন, তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনা। মুখ খুলতে সাহস পাইনা! তাই সে-সুবাধে গত মঙ্গলবার সকালে জমিটির চারপাশে স্থিত আমার সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পরে জমিতে তারা পুণরায় নতুন সীমানা পীলার ও কাঁটাতারের ঘেড়া-বেরা দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করি। তাই উক্ত ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে আমার খতিয়ানভুক্ত জমি পূর্বের ন্যায় আমাকে ভোগ-দখল ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফৌজুল কবিরের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঐ জায়গাটির এক-সময় আমরাও মৌরশী মালিক ছিলাম। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় আমদের অংশটুকু বিক্রি করে দিয়েছিলাম। তাই ওরা আমাদের বসত ঘরের জায়গাটি পাবে। কিন্তু তাদের বলেছি জায়গাটি আমরা কিনে নিতে চাই। অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করেও পায়নি যায়নি।

No comments found


News Card Generator