close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির জনপ্রিয় প্রতীক এখন আলহাজ্ব ফখরুল ইসলামের হাতে..

Abdullah al Mamun avatar   
Abdullah al Mamun
কোম্পানীগঞ্জে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক নতুন অধ্যায়

নোয়াখালী প্রতিনিধি: আবদুল্লাহ আল মামুন..

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনটি সবসময়ই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। দলীয় প্রতিযোগিতা, নেতৃত্বের টানাপোড়েন আর জনআকাঙ্ক্ষার মিলনস্থল এই আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আবারও জেগে উঠেছে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা।

 

গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকায় এই আসনে দলের মনোনয়ন পান ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম। এই ঘোষণার পর থেকেই কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে দেখা যায় উৎসবমুখর পরিবেশ। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মনোনয়নটি ছিল “প্রত্যাশিত” — কারণ ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দলের মাঠপর্যায়ে সক্রিয়, তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রগামী একজন নেতা হিসেবে পরিচিত।

 

একজন তরুণ কর্মী বলেন,“আমরা এমন একজন মানুষকেই চাই, যিনি দলের জন্য যেমন নিবেদিত, তেমনি জনগণেরও বন্ধু। ফখরুল ভাই সেই বিশ্বাসের নাম।”

অঞ্চলজুড়ে তার পরিচিতি শুধু রাজনীতিক নয়, বরং একজন উদ্যোক্তা ও মানবসেবক হিসেবেও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে কর্মসংস্থান, শিক্ষা সহায়তা ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।

 

একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন,“তিনি নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও যুব উন্নয়নে বাস্তব পরিবর্তন দেখা যাবে। তার পরিকল্পনাগুলো এলাকাকেন্দ্রিক এবং বাস্তবধর্মী।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ফখরুল ইসলামের প্রার্থিতা বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটিয়ে তৃণমূলের নতুন নেতৃত্ব গঠনের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

একজন উপজেলা বিএনপি নেতা বলেন,“দলের কঠিন সময়ে যিনি মাঠে ছিলেন, তাকেই আজ নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার।”

 

 

 

জনগণের প্রত্যাশা এখন একটাই—এই আসনে যেন রাজনীতি ফিরে পায় উন্নয়ন, ঐক্য ও শান্তির পথে। বহুদিন ধরে সংঘাত ও প্রতিহিংসায় ক্ষতবিক্ষত রাজনৈতিক পরিবেশে তারা এখন পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন।

একজন তরুণ ভোটার বলেন, “আমরা রাজনীতি চাই কাজের জন্য, বিরোধের জন্য নয়। ফখরুল ভাইয়ের মধ্যে আমরা সেই পরিবর্তনের আশা দেখি।”

 

এদিকে বিএনপির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমিটি না থাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য অনেকের । তাই দ্রুত কমিটি করার আশা সকলের মনে। পুরাতন চালে ভাতে বরকত বলে অনেকে মন্তব্য করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে সভাপতি হিসেবে আবারো দেখতে চান সাবেক বিএনপি'র সভাপতি আবদুল হাই সেলিমকে। তার মেধা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালী ৫ নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ।

সবমিলিয়ে বলা যায়, নোয়াখালী-৫ আসনে আলহাজ্ব ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন শুধু রাজনৈতিক খবর নয়—এটি জনগণের আশার বার্তা। তার নেতৃত্বে বিএনপি সংগঠিত হবে, আর কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের

সূচনা ঘটবে বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator