close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আওয়াজ বাড়ান” — বিজয় ভাষণে গর্জে উঠল ব্রুকলিন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
New York’s new mayor Zohran Mamdani took a sharp jab at Donald Trump during his victory speech, saying, “Turn the volume up!”— a bold response to Trump’s open opposition during the campaign.

শিরোনাম (SEO অপ্টিমাইজড):
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আওয়াজ বাড়ান” — বিজয় ভাষণে গর্জে উঠল ব্রুকলিন

সংক্ষিপ্ত বিবরণ (বাংলা):
বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি। প্রচারে ট্রাম্পের সরাসরি বিরোধিতার পরও তিনি জিতেছেন। বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে দিলেন তীক্ষ্ণ বার্তা— “আওয়াজ বাড়ান!”

Short Description (English):
New York’s new mayor Zohran Mamdani took a sharp jab at Donald Trump during his victory speech, saying, “Turn the volume up!”— a bold response to Trump’s open opposition during the campaign.


নিউইয়র্কের রাজনীতিতে ইতিহাস গড়ে দিয়েছেন জোহরান মামদানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিরোধিতা এবং তাঁর সমর্থিত প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে তিনি হয়েছেন শহরের নতুন মেয়র। পুরো প্রচারজুড়েই ট্রাম্প ছিলেন মামদানির প্রধান সমালোচক; এমনকি তিনি নিজ দলের প্রার্থীকে পাশ কাটিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী কুমোকে সমর্থন জানান। ভোটের আগের দিন ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যমে নিউইয়র্কবাসীকে আহ্বান করেছিলেন— “জোহরান নয়, কুমোকে ভোট দিন।”

কিন্তু ফলাফলে ট্রাম্পের আহ্বান উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ভোটে ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হন জোহরান মামদানি। বিজয়ের পর উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ব্রুকলিনে। মঞ্চে আসতেই উপস্থিত জনতা একসঙ্গে চিৎকার করে ওঠে— “জোহরান! জোহরান!”— যেন এক নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা ঘোষণা করছে তারা।

বিজয়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে মামদানি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
“ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি জানি আপনি দেখছেন। তাই আপনাকে মাত্র চারটি শব্দ বলব— টার্ন দ্য ভলিউম আপ (আওয়াজ বাড়ান)।
ভিড়ের মধ্যে মুহূর্তেই তৈরি হয় উচ্ছ্বাসের ঢেউ। দর্শকরা হাততালি ও শ্লোগানে মাতিয়ে তোলেন পুরো স্থানটি।

মামদানি আরও বলেন, “আমাদের মধ্যে যেকোনো একজনের কাছে পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়েই যেতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ, আমরা সাহসী, আমরা নিউইয়র্ক।” তাঁর এই বক্তব্যে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।

অন্যদিকে, জোহরানের ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যম Truth Social-এ লেখেন, “...এবং এবার এটা শুরু হলো!”— যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির বিজয়ে ট্রাম্পের বিরক্তি প্রকাশেরই প্রতীক।

জয়ের পর জোহরান তাঁর ভাষণে বলেন, “আজ আমরা প্রমাণ করেছি— আশা এখনো বেঁচে আছে। নিউইয়র্ক এমন এক সময়ের পথে হাঁটছে, যখন মানুষ তাদের নেতাদের কাছে আরও সাহসী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করবে।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক অন্ধকারের এই সময়ে নিউইয়র্ক হবে আলোর প্রদীপ, যেখানে ন্যায়, সমতা এবং মানবতার জয় হবে।”

অর্ধ ঘণ্টার মতো স্থায়ী সেই বক্তৃতায় জোহরান মামদানি শুধু ট্রাম্পকে নয়, পুরো আমেরিকান রাজনীতিক ব্যবস্থাকেই বার্তা দিয়েছেন— পরিবর্তনের সময় এসেছে। তাঁর এই বক্তব্যে যুবসমাজ, অভিবাসী কমিউনিটি ও সাধারণ নিউইয়র্কবাসীর মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার ঘটেছে।

ব্রুকলিনের রাস্তায় তখন ঢেউ খেলছিল উল্লাস। হাতে হাতে উড়ছিল নীল-হলুদ পতাকা, প্রতীকি অর্থে ‘আশা ও সাহসের’ প্রতিচ্ছবি। নিউইয়র্ক যেন সেই রাতে নতুন এক ইতিহাসের জন্ম দেখল— যেখানে একজন মুসলিম অভিবাসী পুত্র হয়ে উঠলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নগরের প্রথম মুসলিম মেয়র।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator