close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সুজনের পরকীয়া জানতে পেরে স্ত্রীর আত্মহত্যা! না পরিকল্পিত হত্যা!..

Md. Imran Molla avatar   
Md. Imran Molla
মো. ইমরান মোল্যা, ফরিদপুর:

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতার পরকীয়ার জেরে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শ্বশুরালয় মধুখালীতে গভীর রাতে মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন। আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এ নিয়ে এলাকায় ধোয়াসার সৃষ্টি হয়েছে।

 

ঢাকা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের হারুণ অর রশিদের ছেলে ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. সুজন মোল্যা। তিনি স্ত্রী খাসনুর জাহান রিনথীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি এক ছাত্রলীগ নেত্রীর সাথে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে স্ত্রী রিনথী গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়দের ধারণা, রিনথীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

 

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বহুল আলোচিত সমালোচিত নেত্রী বেনজীর হোসেন নিশির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মো. সুজন মোল্যা। একই অফিসে বেনজির হোসেন নিশি চেয়ারম্যান ও মো. সুজন মোল্যা এমডি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সুবাদে নারীলোভী সুজনের সাথে নিশির সখ্যতা গড়ে উঠে। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি বেনজির হোসেন নিশিকে প্রায় ৯ মাস আগে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। পরবর্তীতে নিশিকে জামিনে ছাড়াতে উঠেপড়ে লাগে সুজন মোল্যা। এতে সন্দেহ হয় সুজনের স্ত্রী রিনথীর। খোঁজখবর নিয়ে তাদের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার ১৩ মাসের একটি দুগ্ধপোষ্য কন্যা শিশু রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রিনথী।

 

স্থানীয় সূত্রে জানায়, মামাতো বোন রিনথীকে কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে করে সুজন মোল্যা। পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীকে নিবৃত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় সে। স্বামী স্ত্রীর এই কলহ উভয় পরিবার জেনে একাধিকবার সুজনকে সতর্ক করলেও সংশোধন না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। রিনথীর আত্মহত্যার পর তার পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে এবং অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে চতুর নারীলোভী সুজন মোল্যা রিনথীর পরিবারের নিকট থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে মধুখালীর শ্বশুরালয়ে রিনথীর মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন করে ঢাকায় ফিরে যায়। এলাকাবাসী রিনথীর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনসহ নানা অপকর্মের হোতা নিষিদ্ধ ঘোষিত এ ছাত্রলীগ নেতাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আত্মগোপনে থেকে জুলাই বিপ্লব ও অন্তবর্তী সরকারের নানা কর্মকান্ডকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী সুজন মোল্যা।

 

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সুজন মোল্যার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার ১৩ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর আত্মহত্যার কারণে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে আমার স্ত্রী শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি। আমার শ্বশুর বাড়ির কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের ইচ্ছায় শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি না করলে খুশি হবো।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator