কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সিমানারপাড় গ্রামে ঘটে যাওয়া নির্মম এক হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছে পুরো এলাকা। মাত্র ছয় বছর বয়সী আদিবা জাহান মিম নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর পাওয়া যায় তার মরদেহ। তদন্তে উঠে আসে ভয়াবহ এক সত্য—হত্যাকারী তারই চাচাতো ভাই ইয়াসিন।
২৪ অক্টোবর বিকেলে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় আদিবা। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। ৩০ অক্টোবর সকালে গ্রামের একটি পুকুরে ভেসে ওঠে আদিবার মরদেহ। গলায় পাথর বাঁধা ছিল, যা ছিল হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৪ নভেম্বর রাতে গ্রেফতার করে ইয়াসিনকে (বয়স আনুমানিক ১৭)। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, আদিবাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এবং মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর সে আদিবার বাবার কাছে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, দাবি করে আদিবা বেনাপোলে আছে।
ইয়াসিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দ্রুত চার্জশিট দাখিল করা হবে।
এই ঘটনায় গ্রামবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিশু সুরক্ষা ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। আদিবার পরিবার এখনও শোকে মুহ্যমান, আর এলাকাবাসী চায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্য এক অশনিসংকেত। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।



















