যু দ্ধ বিরতি ঘোষণার মধ্যে ই স রা য়ে লে চলছে ‘ক্ষে প ণা স্ত্র বৃষ্টি’, নিহত ৩..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে, নিহত তিনজন; মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির আহ্বান দিলেও উত্তেজনা অব্যাহত।..

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ইসরায়েলে শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের তীব্র বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ইরান থেকে দুই দফায় মোট ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। প্রথম দফায় দুটি, দ্বিতীয় দফায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, যা ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে।

বিশেষ করে ইসরায়েলের বিয়ারশেবা শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে তিনজন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া মধ্য ইসরায়েল ও দক্ষিণাঞ্চলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে সাইরেন বাজতে থাকে, যা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ও ইরান ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ আচরণে বাধ্য করবে। তিনি এই যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বে শান্তির প্রত্যাশা হিসেবে দেখেন।

তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির সময়ও ইরাকের ইমাম আলী ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে, যা সংঘাতের অবসানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

ইসরায়েল ও ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতার মাঝে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়া পরিস্থিতিকে সাময়িক শান্তির আশার আলো দিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত, এবং ভবিষ্যতে সংঘাত বাড়ার শঙ্কা প্রবল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না হলে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট আরো গাঢ় হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ যুদ্ধবিরতির প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বজায় রাখার জন্য সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাস্তব পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় শান্তি প্রক্রিয়া অগ্রগতি পাচ্ছে না।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থাভঙ্গ দূর করতে হবে। রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হলে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

অবশ্যই আন্তর্জাতিক মহলকে এখানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, যাতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয় এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।

No comments found


News Card Generator