সম্প্রতি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোর অভাবনীয় সাফল্যের পর সরকারের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। সফলভাবে সমাবেশগুলো আয়োজনের জন্য আটদলীয় জোটের নেতাকর্মী এবং অংশগ্রহণকারী বিশাল জনসমুদ্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "জনতার ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন।" রোববার (৭ ডিসেম্বর, ২০২৫) এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রেজাউল করীম তার বিবৃতিতে আটদলীয় জোটের সাংগঠনিক শক্তি এবং পারস্পরিক সংহতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এত অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে যে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এই আটটি বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজিত হয়েছে, তা আন্দোলনরত দলগুলোর সাংগঠনিক শৃঙ্খলার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বিরতিহীনভাবে দেশের আট প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন, এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্যাপক জনসম্পৃক্ততার সাক্ষর রেখেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বিশেষ করে সমাবেশে অংশ নেওয়া সাধারণ জনতার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, প্রতিটি সমাবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সেই দাবির যথার্থতা প্রমাণ করেছে। জনতার উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রমাণ করে, জাতি আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আবারও ব্যক্ত করেছে। তিনি জনতার এই সমর্থনকে নিজেদের সংগ্রামের বড় সাহস হিসেবে আখ্যা দেন।
'পীর সাহেব চরমোনাই' নামে পরিচিত এই নেতা সরকারের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটকে আলাদা করার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একইসঙ্গে, জনতা ফ্যাসিবাদের বিচার এবং তাদের দোসরদের বিচারের ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি ‘পিআর’ পদ্ধতির পক্ষেও জনগণ আবারও মত দিয়েছে। তাই অবিলম্বে জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্দোলনরত দলগুলোর দাবিগুলো মেনে নেওয়া হোক। স্থানীয় প্রশাসন, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতিও তিনি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।



















