আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি। এবার এই আসনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমকে সম্ভাব্য প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এ ছাড়াও ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তরুণ ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা এবং স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠন গোছানোর অভিজ্ঞতার কারণে সাদিক কায়েমকে তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে। যদিও দল থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
এর আগে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনকে মনোনীত করেছিল দলটি। মনোনীত হওয়ার পর থেকে তিনি আসনটিতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ভিপি পদে ছাত্রশিবির প্যানেলের মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন।
তিনি আরো দায়িত্বে আছেন কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, ছাত্রশিবিরের আলোচিত সদ্য সাবেক ঢাবির সভাপতি সাদিক কায়েম।
মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ যিনি মির্জা আব্বাস অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও তৎকালীন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন দুই মেয়াদে। মির্জা আব্বাস — তিনি মোট দুটি দফায় সাংসদ (এমপি) ছিলেন। প্রথমবার: ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল — ঢাকাসহ ৬ নং আসন (Dhaka-6) থেকে নির্বাচিত।
দ্বিতীয়বার: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল — আবারো ঢাকাসহ ৬ নং আসন (Dhaka-6) থেকে এমপি হন।
তিনি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।



















