close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জামায়াতের হিন্দু প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীর ছবি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায়ায় সমালোচনার ঝড়..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A storm of controversy surrounds Jamaat candidate Krishna Nandi over his past political affiliations and viral photos.

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণ নন্দীকে মনোনীত করার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও, একটি কট্টর ইসলামি দলের মনোনয়ন পাওয়ায় তার ধর্মীয় পরিচিতি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে বিতর্কের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্প্রতি অনলাইনে ভাইরাল হওয়া তার কিছু ছবি এবং তার অতীত রাজনৈতিক জীবনের দ্বিদলীয় যোগসূত্র।

ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগল কমিটির সভাপতি শিপন কুমার বসুর সঙ্গে কৃষ্ণ নন্দীর ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য। সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ছবিটি জনসমক্ষে আসার পর থেকেই অনেকে ধারণা করছেন, কৃষ্ণ নন্দীর সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একটি 'বিশেষ সংস্থার' নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। ছবিটির সত্যতা অনুসন্ধানী সাংবাদিক যাচাই করেছেন এবং এটি এআই-জেনারেটেড নয় বলেও নিশ্চিত করেছেন। এমনকি, ছবি তোলার সময় (২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি) কৃষ্ণ নন্দীর ভারতে অবস্থানের প্রমাণও পাওয়া গেছে। সমালোচকরা বলছেন, জামায়াতের মতো দলের মনোনয়ন পাওয়া এবং একইসাথে এই ধরনের আন্তর্জাতিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা পরস্পরবিরোধী এবং সন্দেহজনক।

অন্যদিকে, কৃষ্ণ নন্দীর রাজনৈতিক জীবন নিয়েও চলছে কাদা–ছোড়াছুড়ি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাধারণ জনগণের একাংশের অভিযোগ, তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তার বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি এখনও অনলাইনে ছড়িয়ে আছে। অভিযোগ উঠেছে, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ মনে করেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসভবনে হামলা চালায়। নিজেকে রক্ষা করতেই তিনি এখন রাতারাতি জামায়াতের শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন—এমনটাই মনে করছেন অনেকে। যদিও কৃষ্ণ নন্দী দাবি করেছেন, মন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল কেবল ব্যবসায়ী হিসেবে, ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ অতিরঞ্জিত। তিনি ২০০৩ সাল থেকেই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত বলে দাবি করছেন।

এই আসনে জামায়াত প্রথমে মাওলানা আবু ইউসুফকে প্রার্থী করেও পরে কৃষ্ণ নন্দীকে চূড়ান্ত করায় দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হয়েও তিনি কিভাবে একজন জনপ্রিয় স্থানীয় জামায়াত নেতাকে হটিয়ে মনোনয়ন পেলেন, তা নিয়ে স্থানীয় ভোটাররা দ্বিধা বিভক্ত। সব মিলিয়ে, দেশের সবচেয়ে বেশি হিন্দু অধ্যুষিত এই আসনে জামায়াতের এই প্রার্থী ঘিরে রাজনৈতিক মাঠ এখন উত্তপ্ত।

نظری یافت نشد


News Card Generator