বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর এ টি এম আজহারুল ইসলাম দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, যদি তার দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়, তবে তারা মুসলিম-অমুসলিম, নারী-পুরুষ এবং সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে এবং একটি সত্যিকারের শান্তির দেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
রোববার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনের ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দেশের ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করে মন্তব্য করেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ বা সমাজতন্ত্রের মতো নীতি অনুসরণ করেও দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আজহারুল ইসলাম পূর্ববর্তী সরকারগুলোর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, "আমরা নৌকা দেখেছি, ধানের শীষ দেখেছি, লাঙ্গল দেখেছি—তারা শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। কিন্তু দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।" এই প্রেক্ষাপটে তিনি জনগণের সঙ্গে নিয়ে জনগণের শাসন কায়েমের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, জামায়াত এককভাবে নয়, বরং আটটি ইসলামী দেশপ্রেমিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি এই প্রচেষ্টা সফল হয় এবং জনগণ পাশে থাকে, তবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে একটি ইসলামী সরকার কায়েম হবে।
এ সময় তিনি দেশের নাগরিকদের মধ্যে 'স্বাধীনতার পক্ষে' ও 'স্বাধীনতার বিরোধী' হিসেবে বিভেদ সৃষ্টির তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, একটি দেশের নাগরিকদের দুভাগে বিভক্ত করে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায় না। তিনি সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এই অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০টি পরিবারকে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়।



















