এমন তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উপপ্রধান সুসান শালাবি।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে রোববার (২৯ জুন) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শালাবি জানান, নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া শাখার খেলোয়াড়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই গাজা থেকে, তবে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে।
শালাবির ভাষ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৪৩৭ জন ফুটবল খেলোয়াড়, যাদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। খেলোয়াড়দের নিবন্ধন তথ্য ও গাজার স্থানীয় শাখার রেকর্ড বিশ্লেষণ করেই এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে বাস্তব সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শালাবি। তার মতে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং অবরোধ ও অব্যাহত হামলার কারণে কিছু এলাকায় প্রবেশ সম্ভব না হওয়ায় অনেক নিহতের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, চলমান সহিংসতায় ২৮৮টি ক্রীড়া অবকাঠামো আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে জানান তিনি। এসবের মধ্যে রয়েছে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম ও বিভিন্ন ক্লাব ভবন। এর মধ্যে ২১টি স্থাপনা পশ্চিম তীর এলাকায় অবস্থিত।
শালাবি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াক্ষেত্রকে নিশানা করছে। তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৬,০০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় আরও অন্তত ৯৮৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।



















