close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরান এখন ইতিহাস—পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিও গুঁড়িয়ে দেবে ইসরায়েল?..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানকে ঠেকানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এবার পাকিস্তানকেও হুমকি! ইসরায়েলের প্রভাবশালী নেতা সরাসরি বললেন, ‘পাকিস্তান খুব দূরে নয়।’ কী পরিকল্পনা ইসরায়েলের? কী বলছে পাকিস্তান? বাড়ছে উত্তেজনা, যুদ্ধ কি আসন্ন?..

বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।
ইরানের পর এবার ইসরায়েলের নজর পড়েছে পাকিস্তানের ওপর। সরাসরি পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলার হুমকি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ইসরায়েলের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতা মেয়ের মাসরি

গত বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া একটি চমকপ্রদ পোস্টে মাসরি আরবি ও উর্দু ভাষায় লেখেন:-ইরানের অভিযান শেষ হওয়ার পর আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি। পাকিস্তান ইরান থেকে খুব দূরে নয়। এটুকু বুঝলেই যথেষ্ট।

তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই দানা বাঁধিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়।

যদিও মেয়ের মাসরি বর্তমানে ইসরায়েলি সরকারের কোনো দায়িত্বে নেই, তবুও তিনি লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একজন মুখপাত্রসুলভ ব্যক্তি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু ব্যক্তিগত মত নয়, বরং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিকল্পনার আভাসও হতে পারে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা তাঁর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন “বিষ্ফোরক বার্তা” সাধারণত কূটনৈতিক পরীক্ষার অংশ হিসেবেই দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের এই হুমকির জবাবে পাকিস্তান সরকার প্রথমে সরাসরি কিছু না বললেও, পরবর্তীতে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুখ খোলেন।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন,-ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে আমাদের বার্তা স্পষ্ট: পাকিস্তানের দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন,-আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।

তার এই বক্তব্য পাকিস্তানের জাতীয় আত্মবিশ্বাস এবং ঐক্যের প্রতিফলন বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।

ইসরায়েলের হুমকির পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষ করে পাকিস্তানিদের প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো বিদ্যুৎ গতির শোরগোল উঠেছে।

  • পাকিস্তান স্ট্র্যাটেজিক ফোরাম তাদের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যঙ্গ করে লেখে:-এরকম কোনো পরিকল্পনার আগে ক্যাপ্টেন লুটজের সঙ্গে পরামর্শ করে নিও, উনি নিশ্চয়ই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে সাহায্য করবেন – পাকিস্তান।

  • অন্যদিকে, এক্স ব্যবহারকারী উসমান ঘানি মন্তব্য করেন:

     যখন আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র ছিল না তখনো তোমরা সাহস করোনি, আর এখন আছে, তাই স্বপ্নই দেখে যাও!

এই প্রতিক্রিয়াগুলো থেকে স্পষ্ট—পাকিস্তানের সাধারণ জনগণও এই হুমকিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না।

বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে এখন প্রধান আলোচনার বিষয়—ইসরায়েল কি সত্যিই পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালাবে?

বিশ্লেষকদের মতে,

  • ইরানের মতো একটি শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো কঠিন হলেও ইসরায়েল সেটি নিয়ে বরাবরই সরব।

  • কিন্তু পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ।

  • তাদের ওপর হামলা সমগ্র মুসলিম বিশ্ব, এমনকি দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ভয়ানক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক পরিসরে যেটা প্রয়োজন, তা হলো কূটনৈতিক সংলাপ এবং সতর্কতা।
ইসরায়েল ও পাকিস্তান—উভয় দেশই কোনো উস্কানিতে জড়ালে এর প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্ব রাজনীতিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন,-এখন সময় উস্কানির নয়, বরং সংঘাত এড়ানোর। কারণ এই যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে থাকবেই না—এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে পুরো মানবজাতির জন্য।

ইরানকে ঘিরে উত্তেজনা যখন এখনো তুঙ্গে, তখন পাকিস্তানের মতো একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা বিশ্বের জন্য বড় একটি বার্তা বহন করে।

Geen reacties gevonden


News Card Generator