'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আবারও তীব্র সংকটে। ইরান থেকে ছুড়ে আসা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশে ধেয়ে আসার খবর পাওয়ার পর দেশটির সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এবং সারা দেশে অ্যালার্ট জারি করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক পোস্ট অনুযায়ী, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (পূর্বের টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এই পোস্টে বলা হয়েছে, আকাশ থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে তারা সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইরান থেকে নতুন করে আরও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েল অঞ্চলগুলোতে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের সামরিক প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে।
সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইসরায়েল গত সোমবার ইরানের ছয়টি বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামো, যা পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দূরনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে তারা ইরানের ১৫টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পাল্টা-প্রতিপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সরাসরি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও প্রবল হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই সংঘর্ষের প্রভাব শুধু এই অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশ্বব্যাপী এটির প্রতিফলন দেখা দিতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, দ্রুত সমাধান না হলে এই উত্তেজনা বৃহত্তর সামরিক সংঘাতে পরিণত হতে পারে।
বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং বিশ্ব সম্প্রদায় তা মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ডিপ্লোম্যাটিক চাপও বেড়েছে, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত সামরিক প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই উত্তেজনার মাঝে সাধারণ জনগণ নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান পেয়েছে। দেশের সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
