বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, তার দল কোনোভাবেই ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন চায় না। তিনি অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ মহল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে 'ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়' এবং একই সাথে বিএনপিকে জনগণের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত 'দেশ গড়ার পরিকল্পনা' শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে মির্জা ফখরুল এই বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল দল-মত নির্বিশেষে সকলের ঐক্য। বিএনপি সেই চেতনায় বিশ্বাসী এবং দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সকল নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়।
তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়; তারা একটি 'নতুন বাংলাদেশ' দেখতে চায়। তারা ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাওয়া পুরোনো ধাঁচের রাষ্ট্র কাঠামোতে আর থাকতে রাজি নয়। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি জাতির সামনে কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরু দায়িত্ব ছাত্রদলের তরুণ নেতাকর্মীদের ওপর অর্পিত।
বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মতো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, বিএনপি একটি প্রগতিশীল ও অ্যাডভান্সড রাজনৈতিক দল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের ইতিহাসে যা কিছু ভালো অর্জন, তা বিএনপির হাত ধরেই এসেছে।



















