জুলাই অভ্যুত্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বহিরাগত ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ হোসেনকে দীর্ঘ পলাতক থাকার পর বাউফল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসের অভ্যুত্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া বহিরাগত এক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই নেতা হলেন জিহাদ হোসেন, যিনি বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর বাউফল থানা পুলিশ তাকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করে। শনিবার দুপুরের মধ্যেই তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের নিয়ে দলবলসহ হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই জিহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এই নৃশংস হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে হামলাকারীদের মধ্যে তাকে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর যখন সরকারের পতন ঘটে, তখন থেকেই জিহাদ হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। বাউফল উপজেলার নাজিরপুর–তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের এই বাসিন্দা তার নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রীন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দ্বারাও অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়েছিলেন। পলাতক থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় এতদিন গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশের এই সফল গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া শুরু হলো। এটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আশা জাগিয়েছে।



















