close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

দ্বীপের শেষকৃত্য সম্পন্ন;সিলেটে শোকের ছায়া

Satyajit Das avatar   
Satyajit Das
সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস ‘দ্বীপ’-এর আকস্মিক মৃত্যু। তাঁর ফ্যান ফলোয়াররা শেষবারের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। দ্বীপের মরদেহ পরে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের পুটিজুড়িতে নিয়ে শেষকৃত্য ..

সত্যজিৎ দাস:

সিলেট ও হবিগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, যখন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাশ, পরিচিত নাম ‘দ্বীপ’, আকস্মিকভাবে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) কুয়ালালমপুর থেকে বিমানের একটি ফ্লাইটে কফিনবন্দি দ্বীপের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,ঢাকা পৌঁছায়। এরপর তাঁর পরিবার মরদেহ গ্রহণ করেন।

 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে সিলেটের গোপালটিলায় মরদেহ আনা হয়। শীত উপেক্ষা করে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়ে তাঁকে শেষবারের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা কালো কাপড় দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মঞ্চ সাজান। ভোর ৩ টার দিকে মরদেহ গিয়ে পৌঁছালে বাবা দিব্যোজ্যোতি দাশ এবং ছোট ভাই দিবাকর দাশ ধ্রুব কাঁধে কফিন নামান। বন্ধু,প্রতিবেশী ও সাধারণ মানুষও শেষবারের জন্য তাঁকে বিদায় জানান।

 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৭ টার দিকে মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি,হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে নেওয়া হয়। বুধবার ০১:৩০ মিনিটের দিকে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন মৃতের কাকাতো ভাই দেবব্রত দাশ।

 

দ্বীপ উচ্চ শিক্ষার জন্য গত মাসে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। গত ১২ নভেম্বর ভোরে কুয়ালালমপুরের এক হাসপাতালে বুকে ব্যথা অনুভবের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মাত্র ২১ বছর বয়সী দ্বীপ ফেসবুকে পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে হাস্যরসাত্মক ভিডিও নির্মাণ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

 

সিলেটের গোপালটিলায় তাঁর স্মৃতি এখনও জীবন্ত। এলাকার মানুষ বলেন,কিছুদিন আগে দ্বীপ এই এলাকার চারপাশে বেড়িয়েছেন এবং তার হাস্যরসাত্মক প্রকৃতি সবাইকে আনন্দ দিত। আকস্মিক মৃত্যুতে প্রতিবেশী,বন্ধু ও সাধারণ মানুষও গভীর শোকে ভেঙে পড়েছেন।

 

দ্বীপের পরিবার সিলেটের গোপালটিলায় বসবাস করেন,তবে মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে। তিনি বড় ছেলে এবং পরিবারের মধ্যে তাঁর এক ছোট ভাই (দিবাকর দাশ ধ্রুব) রয়েছে।

 

সিলেট ও হবিগঞ্জের মানুষজনের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও তরুণ এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের আকস্মিক মৃত্যুর খবর শোক সৃষ্টি করেছে।

Nema komentara


News Card Generator