close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রীসংস্থার আয়োজনে ইবিতে শুরু হলো উইন্টার ফেস্ট: উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা..

Mahfujul Haque Piyas avatar   
Mahfujul Haque Piyas
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার আয়োজনে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে ‘উইন্টার ফেস্ট’।..

ইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার আয়োজনে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে ‘উইন্টার ফেস্ট’। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-৩৬ হলের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই শীত উৎসবের উদ্বোধন হয়।

সকাল ৯টা থেকে ক্বিরাত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ক্রমান্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় হাঁড়িভাঙা, আইকিউ টেস্ট, সুঁই-সুতা (নিডল অ্যান্ড থ্রেড) ও পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা। দুপুরে বিরতির পর বিকেলে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ছাত্রীদের উচ্ছ্বাসে।

জানা যায়, উইন্টার ফেস্টে মোট পাঁচটি ইভেন্টে দুই শতাধিক ছাত্রী অংশ নেন। একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ তিনটি ইভেন্টে অংশ নিতে পারেন। জুলাই–৩৬ হলে সূচনা হলেও পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি দুইটি ছাত্রী হলেও অনুরূপ আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিমা ইভা  বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা খেলায় অংশ নিয়ে আমরা যেন আবার শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। পড়াশোনার ব্যস্ততার মাঝে এমন আয়োজন আমাদের মানসিক প্রশান্তি দিয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে-কোনো ধরনের অনৈতিক বা অশোভন কিছু ছিল না; সবকিছু ছিল শালীন ও আনন্দঘন।

আল ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন শার্মিলি বলেন, কেরাত প্রতিযোগিতা খুবই অর্থবহ উদ্যোগ। অনেক আয়োজনেই নাচ-গান থাকে, কিন্তু কেরাত হয় না। আজকের হাঁড়িভাঙা খেলায়ও দারুণ আনন্দ পেয়েছি। আশা করি ছাত্রীসংস্থা ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর আয়োজন চালিয়ে যাবে।

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী তায়েবা আক্তার বলেন, এই আয়োজন আমাদের মানসিক চাপ কমাতে ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

আয়োজন সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, উইন্টার ফেস্টের মাধ্যমে জুলাই-৩৬ হলের ছাত্রীদের নিয়ে একটি দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। প্রতিটি হল যেন একেকটি পরিবার। এই উৎসবের মাধ্যমে বোনেরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। ভবিষ্যতেও ছাত্রীদের উপযোগী এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator