বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সরব হয়েছেন ছাত্রদল ঘরানার রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা হেমায়েত হোসেন সোহরাব। তিনি শুধু একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা নন, বরং পাট ও নৌপরিবহনবিষয়ক উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের ছোট ভাইও বটে। শনিবার (৫ জুলাই) হিজলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে ডা. খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।
ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখার ছাত্রদল থেকে যাত্রা শুরু করেন সোহরাব। এরপর ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাহিত্য সম্পাদক এবং সর্বশেষ পল্লবী থানা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা প্রায় চার দশকেরও বেশি।
"আমার মূল লক্ষ্য হলো—দেশপ্রেম, আল্লাহভীতি ও সুন্নতের আদর্শে একটি জনপদকে বদলে দেওয়া, বলেন সোহরাব। তিনি আরও বলেন, “উন্নয়ন করতে হলে আগে নৈতিকতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা যেন জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করব।”
তিনি দাবি করেন, তারই সুপারিশে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ অঞ্চলে ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ঘোষেরচরে শহীদ রিয়াজের নামে লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ, মৌলভীরহাটসংলগ্ন মেঘনা নদী খনন এবং মেহেন্দিগঞ্জের সুলতানি খালে ভাঙন প্রতিরোধে ৯ কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে।
তাঁর দৃষ্টিতে উন্নয়নের চাবিকাঠি:
– কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো
– কারিগরি শিক্ষার প্রসার
– যোগাযোগ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন
– নদীভাঙন রোধ
– তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন
রাজনীতিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সোহরাব বলেন, "আমার কাজের মূল্যায়ন নিশ্চয়ই কেন্দ্র করে দেখছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব প্রার্থীর কার্যক্রম জানেন। আমি শতভাগ আশাবাদী—দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
তিনি আরও বলেন, “এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আমি মনোনয়ন পেলে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে এ অঞ্চলকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করব।
হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের দুর্গম অঞ্চলকে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষার উন্নয়ন ও বেকারত্ব হ্রাসের মাধ্যমে একটি “স্বনির্ভর উপজেলা” হিসেবে গড়ে তোলাই হবে তার মূল লক্ষ্য।