টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন বেকু দিয়ে জমির উর্বর মাটি কেটে ৩০–৪০টি ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। এতে শুধু জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে না, বরং জমির ওপর দিয়েই এসব ট্রাক যাতায়াত করায় ব্যাপকভাবে নষ্ট হচ্ছে চাষ করা ফসল।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, জমিতে ধান ও শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন ট্রাক চলাচলে জমির ওপরের অংশ পুরোপুরি চ্যাপ্টা হয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে শত শত গাছ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, “আমরা জমিতে দাঁড়ানো ফসল রক্ষা করতে পারছি না। ওরা দিনের বেলা-রাতের বেলা ট্রাক চালায়, ফসল চাপা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। বাধা দিলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।”
সরেজমিনে আরও জানা যায়, ট্রাক চলাচলে মমিনপুর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার সামনে ও আশপাশের সড়কগুলো ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
মমিনপুর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, “মাটি বোঝাই ট্রাকের কারণে মাদ্রাসার সামনে রাস্তা ভেঙে গেছে। প্রতিদিন ছাত্ররা ভাঙা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ম্যানেজের চেষ্টাও করেন।
ভূঞাপুরের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাজিব হোসেন বলেন, “এলাকায় ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি ও ট্রাক চলাচলের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। দ্রুতই আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফসলি জমি নষ্ট করে কেউই ছাড় পাবে না।”



















