গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন মন্তব্য করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের জন্য ছিলেন একজন আপসহীন নেত্রী। তার মতে, খালেদা জিয়াই বাংলাদেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি তৎকালীন সময়ে আধিপত্যবাদী ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলার মতো সাহস দেখিয়েছিলেন। রাশেদ খাঁন বলেন, দেশের মানুষকে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ও রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অসুস্থ থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে দলীয় নির্বাচনি পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন বলেন, নির্বাচন অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন যে, একটি মহল, যাদেরকে তিনি 'ভারতীয় আধিপত্যবাদী' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো এই ধরনের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের কার্যকলাপ নিয়ে তিনি বলেন, এই কমিশন গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, কমিশনের এজেন্টরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জনমত তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন দেখতে উন্মুখ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণ ভোট দিতে চায় এবং নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশের সংস্কার দেখতে চায়। রাশেদ খাঁনের মতে, আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য 'নির্বাচনই সবচেয়ে বড় সংস্কার'। এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারা প্রত্যাশা করেন, তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, যার জন্য দেশের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহী। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিএনপি এবং তারেক রহমানই নেবেন।
বৈডাঙ্গা বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় রাশেদ খাঁন ছাড়াও জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজনসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পথসভার শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



















