close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের ৭৭ ড্রোন ধ্বং সের দাবি পাকিস্তানের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের আকাশ সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে একের পর এক ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও করেছে ইসলামাবাদ। বাড়ছে সীমান্ত উত্তেজনা, নিঃশব্..

পাকিস্তানের চাঞ্চল্যকর দাবি: ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল সেনাবাহিনী

ভারতের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি—মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পাকিস্তানের সীমান্তে নজরদারিতে থাকা মোট ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। এই পদক্ষেপকে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের যথাযথ জবাব’ হিসেবে উল্লেখ করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ৮ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়, যার মধ্যে বেশিরভাগ ছিল নজরদারি কাজে ব্যবহৃত। এরপর আরও ৪৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সব মিলিয়ে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ৭৭টি ড্রোন গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান।

ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ: যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযোগ

শুধু ড্রোন ধ্বংসই নয়, পাকিস্তান এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারতের সামরিক বিমান ভূপাতিত করারও দাবি করেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের দুটি সামরিক যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুটি যুদ্ধবিমানই আকাশে বিধ্বস্ত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এই ঘটনাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি ব্যবহার করে ভারতের আকাশ সীমা লঙ্ঘনের কড়া জবাব দিয়েছে। চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এবং টার্গেট একুরেসি নিখুঁত।”

সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি? যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে?

ভারত-পাকিস্তান দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে হঠাৎ এমন উত্তেজনায় পুরো বিশ্ব নজর রাখছে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। তবে এ বিষয়ে এখনো কূটনৈতিকভাবে সরাসরি পদক্ষেপ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,

 

আমরা এমন কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করব না, যেখানে আমাদের সরাসরি কোনো স্বার্থ নেই। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে সেটি তাদের নিজস্ব দ্বন্দ্ব হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাতে পারে।”

এই মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকলেও সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপে যাচ্ছে না।

চীন-পাকিস্তান সামরিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন প্রশ্ন

চীনা যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেওয়া ও পাকিস্তানের এই সামরিক আগ্রাসন চীন-পাকিস্তান সম্পর্ককে নতুনভাবে আলোচনায় এনেছে। দীর্ঘদিন ধরে সামরিক ক্ষেত্রে চীনের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান এবার সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি আক্রমণে নামল বলে মত বিশ্লেষকদের।

সীমান্তে এই সামরিক উত্তেজনা যদি আরও বাড়ে, তবে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।


পাকিস্তানের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিত এবং ভারতের দুটি সামরিক বিমান ধ্বংসের দাবি এই মুহূর্তে পুরো দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে পরিস্থিতি ক্রমেই সংঘাতমুখী হচ্ছে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। দৃষ্টি এখন বিশ্বশক্তির দিকেই—তারা কি এই উত্তেজনায় হস্তক্ষেপ করবে, নাকি কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির পথে হাঁটবে?

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator