close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে খুলনার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চলছে রমরমা নিয়োগ বাণিজ্য

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবের অভিযোগ নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও প্রকট হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবের অভিযোগ নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও প্রকট হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পরও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পরিবারের সদস্যদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্র মতে, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মাহবুবুর রহমান গত আগস্টে সিন্ডিকেট সভায় ১৫ জনের নিয়োগ অনুমোদন করেন। এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আসার প্রত্যাশা করা হলেও, পরিবর্তনের কোনো ছাপ দেখা যায়নি। নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ-সদস্য, যুবলীগ নেতাদের আত্মীয়স্বজনের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে মূল্যায়ন পর্যন্ত সরাসরি উপাচার্যের হস্তক্ষেপ ছিল। এমনকি পছন্দের প্রার্থীদের আগে থেকেই প্রশ্ন জানিয়ে দেওয়া এবং পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করাসহ নানা অনিয়ম করা হয়েছে। বিশেষ সুবিধাভোগীদের নিয়োগ তালিকা এখন পর্যন্ত যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের শ্যালিকার ছেলে এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়। এছাড়াও, সাবেক প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপুর আত্মীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২৭ আগস্টের সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা পদে যোগদান করতে ব্যর্থ হলে ৩ ডিসেম্বর আরেকটি সভায় নতুন করে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখানে আবারও আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা অগ্রাধিকার পান। "বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী সাম্রাজ্যে পরিণত" স্থানীয় নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আওয়ামী লীগের পারিবারিক সম্পত্তিতে রূপান্তর করা হয়েছে। খুলনার নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, “৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা দেশে স্বচ্ছতা আশা করেছিলাম। কিন্তু দুর্নীতি, লুটপাট এবং নিয়োগ বাণিজ্য চলতেই থাকলে ছাত্র-জনতার ত্যাগ বৃথা যাবে।” তথ্য পেতে বাধার মুখে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে দারোয়ান গেটে প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে উপাচার্যের একান্ত সচিব নুরুল মোমেন সব প্রশ্ন লিখে জমা দিতে বলেন এবং তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরামর্শ দেন। উপাচার্যের বক্তব্য এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, "সব নিয়োগ প্রক্রিয়াই বিধি মোতাবেক সম্পন্ন হয়েছে। সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়া কোনো নিয়োগ হয়নি।" বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এই বিতর্ক সরকারের ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করতে পারে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator