ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্র, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র আক্রমণাত্মক বার্তা দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, "আমরা শান্তি চাই, তবে আমেরিকার দাসত্বপূর্ণ শান্তি নয়।" এই বক্তব্যটি লাতিন আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন কূটনৈতিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাদুরোর এই মন্তব্য সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে, ভেনেজুয়েলা তাদের সার্বভৌমত্ব বা পররাষ্ট্রনীতির ওপর কোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না।
মাদুরো তার ভাষণে আরও উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন বছরের পর বছর ধরে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা। তিনি অভিযোগ করেন, আমেরিকা যে শান্তির কথা বলে, তা আসলে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার একটি কৌশল। এটি এমন একটি ‘শান্তি’, যা আসলে অন্য রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে শৃঙ্খলিত করে। তার মতে, প্রকৃত শান্তি তখনই আসবে যখন রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে এবং কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাদুরোর এই কঠোর অবস্থান দেশের অভ্যন্তরে তার ভিত্তি আরও মজবুত করতে সহায়ক হবে, যেখানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিরুদ্ধে জনরোষ রয়েছে। একইসঙ্গে, এটি কিউবা, ইরান, চীন ও রাশিয়ার মতো মার্কিন-বিরোধী অক্ষের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। মাদুরোর এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে, কারাকাস এখন সরাসরি ওয়াশিংটনের চাপ উপেক্ষা করে নিজেদের পথ বেছে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই বক্তব্যের ফলে অদূর ভবিষ্যতে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



















