রাজধানীতে ছাত্রদল নেতাদের বাজার মনিটরিং
সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল নেতা মীর মোহাম্মদ খোকন ও কবি নজরুল কলেজের ছাত্রদল নেতা শাওন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নিত্যপণ্যের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালে আনতে পণ্য কেনার রসিদ ও বিক্রয় মূল্য সামনে টানিয়ে রাখতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের তারা আলটিমেটাম দিয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার মনিটরিং করে তারা এ আলটিমেটাম দেন।
নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নামা ছাত্রদল নেতারা কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের বাজার, মুদি মালামালের বাজার ও ফলের বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দাম পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিটি দোকান ঘুরে সব মালামালের দাম তারা খাতায় লিখে নেন। বাজারে থাকা সব মালামালের দাম ভোক্তাদের নাগালে নিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের কেনা মালামালের রশিদের কপি ও মালামালের বিক্রি মূল্যের তালিকা দোকানের সামনে টাঙিয়ে রাখতে তারা অনুরোধ জানান। যদি কোনো ব্যবসায়ী এ অনুরোধ না রাখেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ছাত্রদল নেতাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন টাউন হল মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী হাবিব জানান, আমরাও চাই সব নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে রাখতে। প্রতিটি নিত্যপণ্য যেন ভোক্তারা কম দামে কিনতে পারে। তবে অসাধু বড় বড় ব্যবসায়ীর জন্য তা সম্ভব হতো না। এখন শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় সংস্কারের পাশাপাশি বাজার সংস্কারে নেমেছে দেখে আমাদের কাছে আনন্দ লাগছে। আশা করছি সব কিছু আগের মতোই ক্রেতাদের নাগালের ভেতর আমরা বিক্রি করতে পারব।
মাংস ব্যবসায়ী মনির বলেন, আমাদের দেশে মুরগি থেকে শুরু করে গরু ও খাসির মাংসের দাম আকাশচুম্বী। আমরা চাই এখন থেকে সব মাছ, মাংসের দাম আগের মতোই কম দামে চলে আসবে। যেখানে সবাই মাছ, মাংস কিনে খেতে পারবে। আমরা শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
ছাত্রদল নেতা মীর মোহাম্মদ খোকন ও শাওন ভূঁইয়া জানান, আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি অতিরিক্ত দামে যেন কোনো পণ্য বিক্রি না করেন। যারা ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তারা যেন কোন অজুহাত না দেখান। আমাদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।