ভারতের সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা নেই, গায়ানার পার্লামেন্টে মোদির দাবি
ভারত কখনই সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা নিয়ে এগোইনি এবং অন্যের সম্পদ দখল করার অনুভূতি থেকে সবসময় দূরে থাকে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের নজির, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
বৃহস্পতিবার গায়ানার পার্লামেন্টের একটি বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদির মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন কানাডা দাবি করেছে খালিস্তান আন্দোলনের নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা নরেন্দ্র মোদি আগে থেকেই জানতেন।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘যে পরিস্থিতিগুলোকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় সেগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে সন্ত্রাস, মাদক, সাইবার ক্রাইমের মতো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে লড়াই করেই আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠন করতে পারব।
মোদি বলেন, ‘এটি তখনই সম্ভব যখন আমরা মানবতা এবং গণতন্ত্রকে প্রথমে কেন্দ্রে রাখি, ভারত সবসময় নীতি, বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কথা বলেছে।
‘যদি এমনকি একটি দেশ, এমনকি একটি অঞ্চলও পিছিয়ে থাকে, তবে আমাদের বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলো কখনই অর্জিত হবে না। এই কারণেই ভারত বলে, প্রতিটি জাতি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের পররাষ্ট্র নীতির দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে, মোদি দাবি করেছেন যে ভারত কখনো স্বার্থপরতার নীতি নিয়ে এগিয়ে যায়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে চীনের প্রভাব কমাতে বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে দিল্লির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে নিজেদের অনুগত শাসক হিসেবে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগকে একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে এসেছে ভারত। কিন্তু গায়ানার পার্লামেন্টে নিজেকে সাধু দাবি করলেন মোদি!
মোদি আরো বলেন, ‘আমরা কখনো সম্প্রসারণবাদের অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যাইনি। সম্পদ দখল, সম্পদ দখলের অনুভূতি থেকে আমরা সবসময় দূরে রয়েছি।
‘আমি বিশ্বাস করি, এটি মহাকাশ হোক বা সমুদ্র, এটি সর্বজনীন সংঘাতের বিষয় নয় বরং সহযোগিতার বিষয় হওয়া উচিত। এখন বিশ্বের জন্যও সংঘাতের সময় নয়।