সরকারি চাকরির বয়সসীমায় অস্পষ্টতা: বিপাকে নিয়োগপ্রত্যাশীরা ও প্রতিষ্ঠান
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে প্রকাশিত নতুন অধ্যাদেশে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। বিশেষত বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য কিনা তা উল্লেখ না থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সরকারি অফিসে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট পদ যেমন সহকারী প্রোগ্রামার, প্রোগ্রামার, সিনিয়র প্রোগ্রামার, এবং উপপরিচালকসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কত হবে, তাও স্পষ্ট নয়। এতে বিপাকে পড়েছেন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
অধ্যাদেশে অনুপস্থিত তথ্য
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত অধ্যাদেশে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর উল্লেখ করা হলেও, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের বয়সসীমা নির্ধারণে অস্পষ্টতা রয়েছে। যেমন, কম্পিউটার সায়েন্সে উচ্চ ডিগ্রিধারীদের জন্য নবম গ্রেড বা তার ঊর্ধ্বে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা আগে ৪৫ বছর পর্যন্ত ছিল।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞের মতামত
বিশিষ্ট জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, "অধ্যাদেশটি সংশোধন করা জরুরি। না হলে জটিলতা আরও বাড়বে। ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদের জন্য পৃথক নিয়ম থাকা উচিত ছিল।"
বিভাগীয় প্রার্থীদের অবস্থা
নতুন অধ্যাদেশে বিভাগীয় প্রার্থীদের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আগে বিভাগীয় প্রার্থীরা বয়সসীমার ক্ষেত্রে শিথিলতার সুযোগ পেতেন। কিন্তু এখন তাদের অবস্থান অনিশ্চিত।
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলেও নতুন চ্যালেঞ্জ
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে তা বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছে। তবে, নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর করতে গিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনার অভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্রুত এই অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।