আই নিউজ বিডির পাঠকদের জন্য বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক,মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো-
২০১৮ সালে যখন জেলে যায়, অনেকে মনে করেছিলো হয়তো কোটি কোটি টাকার উৎস বের হবে। বিএনপি জামায়াত বা বিদেশি শক্তি কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, সেটা চ্যালচ্যাল করে বের হয়ে আসবে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনকভাবে অনেকের স্বপ্ন পুরণ হয়নি! দেশব্যাপী ৮ মাসের আন্দোলনে মাত্র ৬ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছিলো। এই তথ্য আমার মামলার যারা তদন্ত করেছিলেন, তাদের নিকট আছে।
আমি জেলে থাকাকালীন গুজব ছড়িয়েছিল আমার ২ টা আইফোন। ঢাকায় বউ নিয়ে ফ্লাটে থাকি। বিলাসবহুল জীবনযাপন করি। এমনকি এমনটাও বলা হয়েছিলো আমার ২ বউ। এছাড়া সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিলো, আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হয়েছিলো, আমি নারীসহ ধরা পড়েছি। এবং এটা প্রমাণ করতে আমার পিছনে নারী এবং আমার জিহ্বা বের করা একটি ছবিও প্রচার করেছিলো। এর সবকিছুই ছিলো মিথ্যা। আমার মামলার যারা তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন, তারাও এমন অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি।
আর সবচেয়ে বড় কথা। আমাকে শিবির বানানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছিলো, আর আমার আব্বাকে রাজাকার বানানোর। কিন্তু তাদের জন্য দুঃখের বিষয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার আব্বার বয়স মাত্র ২ মাস ছিলো। এবং আমার বংশের একজন ব্যক্তিও রাজনীতি করেনা। ভোট দেওয়ার সময় ব্যালেন্স রাখার জন্য আব্বা ও মা আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে যথাক্রমে ভোট ভাগাভাগি করে দিতো। কারণ এই বড় দুইদলের প্রার্থীরাই বাড়িতে এসে ভোটের জন্য খুব আহাজারি করতো। সবার অনুরোধ রাখতে মা- বাবার দুটি ভোট দুই দলকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন।
যাইহোক,এই যাত্রায়ও সফল হয় না অপবাদকারীরা।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ফান্ডিং এবং নেতাকর্মীদের চলাচল নিয়ে এখনো অনেকের ধোঁয়াশা রয়েছে। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা সেই আগের পথেই আছি। বিপদ আপদে আমাদের অর্থ লাগলে আমরা জনগণের কাছে হাত পাতি। কারণ আমাদের রাজনীতিটা জনগণের জন্য। এখানে কালো টাকার কোন উৎস নেই। নেই নেতাকর্মীদের বাড়ি গাড়ি। হাসান আল মামুনের পরে আমি যখন আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) হই, এর আগে আপনারা যারা আমাকে ফলো করেন, দেখছেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য আমি অনলাইনে ছোটখাটো বিভিন্ন বিজনেস করেছি। ভবিষ্যতেও হালাল পথে কিছু করার ইচ্ছে আছে।
আমাদের সংগঠনের অধিকাংশই নিজের উপার্জনে চলে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমিদখল ইত্যাদির কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
সুতরাং, আমাদের নিয়ে কনফিউশানে না ভোগার জন্য সকলকে অনুরোধ থাকলো। আমাদের ফান্ডিং অত্যন্ত দৃশ্যমান। মিছিল মিটিংয়ে যারা আসে, তারা নিজ পকেটের টাকা খরচ করেই আসে এবং যায়। যতোটুকু না সংগ্রহ করলেই না, ততোটুকু আমরা গণফান্ড উত্তোলনের মাধ্যমে সংগ্রহ করি। এছাড়া আমাদের অফিসে একটা গণঅনুদান বক্স আছে, অফিসের দর্শনার্থীদের অনেকে সেখানে সহায়তা করে। এবং আমাদের অফিস ভাড়ার জন্য যে টাকাটা লাগে সেটা আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী উয়িং এর সদস্যের অনুদানের মাধ্যমেই দেওয়া হয়। সারাদেশে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলে নিজ নিজ ইউনিটের সদস্যদের থেকে সংগৃহীত অনুদানের মাধ্যমে।