আজ জুলফিকার আলি ভুট্টোর ফাসি।
জুলফিকার আলী ভুট্টো কোন সাধারণ মানুষ নন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৮ সালে তিনি মন্ত্রী সভায় যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান ১৯৬৩ সালে। আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করে ১৯৬৭ সালে নিজে আলাদা দল গঠন করেন যার নাম দেয়া হয় পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সার্বিক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদের উপর ক্ষমতা অর্পণে ভুট্টো আপত্তি তুলেন। উনিশশো সত্তুরের নির্বাচনের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল।

সাতই ডিসেম্বর জাতীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের সুবাদে আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে শুধু পূর্ব পাকিস্তানে অদ্বিতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। ১৬২টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া সব আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, পশ্চিম পাকিস্তানের ১৪৮টি আসনের মধ্যে ৮১টি আসন পায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি। শুরু করে নানা ষড়যন্ত্র। মুজিব তাতে কর্নপাত না করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধেও নানা শত্রুতা ও ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতে থাকে।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের স্থলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ আবারো পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক দ্বারা সংঘটিত এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন।
এক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে। ষড়যন্ত্র করলেও স্বাধীনতা তার মেলেনি।