ঘটনার ময়নাতদন্তে হেফাজতের মামুনুল হক
কুখ্যাত বলুন আর বিখ্যাতই বলুন আগে দেখেছিলাম আলেমের চেহারা আর এখন দেখলাম জালেমের চেহারা। হেফাজতের " মামুনুল হক " একজন আলেম হিসেবে যে জনপরিচিত ছিলো। তার সাথে আজ আরও কয়েকটা পরিচিতি ঘটলো একজন বিশ্বাসঘাতক, একজন মিথ্যাবাদী সহ নারী নিয়ন্ত্রণেও যার রয়েছে সমান পারদর্শীতা।
অপরাধ বিজ্ঞানে একটা টার্ম আছে " কোন অপরাধী তার চোখ - মুখের উচ্চারিত ভাষা - বডি লেংগুয়েজের বাইরের আচরণে অপরাধের ৫০% লক্ষণ এবং বাকি ৫০% ভাগ স্হান কাল পাত্রের অবয়ব প্রমান করে প্রকৃত ঘটনার সত্যতা। এবার আসুন ঘটনা ভেতরে একটু নজর দেই। একজন পরিচিত নারীকে সংগে নিয়ে টাইমপাস করার জন্য সোনারগাঁও রিসোর্টে এসে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর কতিপয় সাংবাদিকদের কাছে যে বয়ান দিলেন।
সেই কথিত নারী জান্নাত আরা ঝর্ণার বয়ান আর মামুনুল হকের বয়ানে সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি। তথাপি সাংবাদিকদের জেরায় তিনি ছিলেন বিমর্ষ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। পরবর্তীতে যখন রিসোর্ট থেকে বের হয়ে নিজের পরিবারের কাছে ফোনালাপে থলের বেড়াল হয়ে গেলো।
শেষরক্ষা করতে পারেননি মামুনুল হক। তার ফোনালাপে পরিস্কার হয়ে গেছে উক্ত যুবতী নারী জনৈক জাফর শহিদুলের সহধর্মীনি।
ঘটনাস্থলের বাইরে এসে মোবাইল ফোনে তিনি তার স্ত্রীকে ভুল বুঝতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহর কসম খেয়ে পরিস্থিতির চাপে বৈধ্য ভাবে ২য় বিয়ে করেছেন বলে স্বীকার ও করেছেন। বেচারী চার সন্তানের জননী নিরুপায় হয়ে হালকা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফোন রেখে দিলেন। ধরে নিলাম মামুনুল কহ মান সন্মানের ভয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা বলেছেন।
তিনি কী জানেন না একটা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও দশটা মিথ্যা বলতে হয়? এই দশটা মিথ্যাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আরও ডজনখানেক মিথ্যা বলা জরুরী হয়ে পড়ে ? এসব মিথ্যাকে সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য করতে কতগুলো কাগজপত্র লাগে ? জনমনে প্রশ্ন তিনি কেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে পুরো মুসলিম সমাজকে কলংকিত করতে গেলেন ? তিনি যদি সত্যি ভালো চরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকতেন সাংবাদিকদের কাছে কেন উক্ত জান্নাত আরা ঝর্ণা না বলে আমেনা তৈয়বা নাম উচ্চারণ করলেন ? আমরা সাংসারিক ভাবে কিংবা বেশী কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তিতে পরিবারের সান্নিধ্য পেতে, সন্তানদের সাহচর্য পেতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বটে। সেখানে উনার মত কথিত স্কলার অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে খোলা আকাশে ঘুরে ফিরে রিসোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন ?
এখন ছাড়া পেয়ে হয়তো সংবাদ সম্মেলন করে বলবেন ৭১ টিভি চ্যানেলের ফোনালাপ আমার নয় তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে দেশবাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘৃন্য যড়যন্ত্র করা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। নিয়তি কখন কাকে কীভাবে শিক্ষা প্রদান করে তা কঠিন বিষয়" পাপ বাপকেও ছাড়ে না" তিনি কিছুক্ষণ আগে ১১টায় ফেসবুক লাইভে তার বক্তব্য দিয়েছেন যা অনেকেই আপনারা শুনেছেন। বক্তব্যে উনার উচ্চারিত মূল বিষয়ের বিশ্লেষণ পরিস্কার ছিলো না। তিনি যুবলীগ ছাত্রলীগকে জড়িয়ে ঘটনার মূল সূত্র কে কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়ে দিলেন বৈকি ?
মামুনুল হক তার জনপরিচিতিকে পুঁজি করে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় ভাবে বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেবার রাজনৈতিক চক্রান্ত দেশপ্রেমী জনগণের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য হবেনা। তবে ৭১ 'র টিভি " ফোনালাপ মিথ্যা " করেছিল ? বাকিটুকু আপনারাই বিচার বিবেচনার করার জন্য ছেড়ে দিলাম ।