Zinnah Chowdhury
প্রকাশ ২৩/০২/২০২১ ১০:৪৭এ এম
চুনারুঘাটে ঘুমের ওষুধ না দিতে চাওয়ায় কিশোর খুন
চুনারুঘাট উপজেলার লাল চান্দ চা বাগানের এলাকায় কিশোর সোহাগ (১৩)খুনের রহস্য আড়াই মাস পর উদঘাটন। মামলার প্রধান আসামী ফজলু মিয়া(২৫) ঘটনার মূল রহস্য পুলিশকে জানিয়েছে।সে জানায়,তাদের কথামতো মামিকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতে রাজি না হওয়ার কারনে সোহাগকে তারা হত্যা করে।পরে মরদেহ খালে ফেলে দেয়।
এ প্রসঙ্গে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান,সোহাগের বাবা হিরন মারা যাওয়ার পর থেকে সোহাগের মা আছমা বেগম সন্তানদের নিয়ে দুবাই প্রবাসী তার ভাই আল আমিনের বাড়িতে বসবাস করতেন।সোহাগের মামা প্রবাসে থাকায় তার মামির প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে পাশের বাড়ির ৩ যুবকের।তারা কৌশলে সোহাগকে ডেকে নিয়ে তার মামিকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতে বলে।সোহাগ তাদের কথায় রাজি না হয়ে তার মা ও মামিকে জানিয়ে দেয়।
এর পর থেকে আসামিরা সোহাগের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওটে।গত ৪ ডিসেম্বর মধ্যেরাতে বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ঘর থেকে সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায় ওই তিনজন। পরদিন ৫ ডিসেম্বর নানার বাড়ির বসতঘরের পশ্চিম দিকে ধোপাছড়া খালের পানিতে গামছা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় সেহাগের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনার সাথে জড়িত রঙ্গু মিয়ার ছেলে রাজুকে আটক করে।এ ঘটনায় সোহাগের মা বাদী হয়ে ৬ ডিসেম্বর চুনারুঘাট থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।