ব্যর্থতার আকার খোঁজার গল্প
লেইফ এরিকসন কিছুটা নিঃশব্দে,
ব্যর্থতার আকার খোঁজার চেষ্টা করছে।
এখনো জাগেনি নভোমণ্ডলের এহলৌকিক রশ্মি।
আইসল্যান্ডের বরফ বিস্তৃত পাহাড় আর
মহা-সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে চোখ।
এখনও জাহাজের সাইরেন বাজেনি,
আর খানিক বাদে ভোঁ ভোঁ শব্দে মেতে উঠবে রেইকিয়াভিক সমুদ্র ‘মৎস’ বন্দর।
শতাব্দীর এই সূবৃহত্তর প্রাচীনতম মৌনতা ভেঙে কেঁপে উঠবে।
কিছু জাহাজ নোঙ্গর ফেলেছে মাঝ দরিয়ায়
ভোঁ ভোঁ শব্দের উন্মুক্ত উন্মত্ততায়।
উন্মাদ হয়ে চিৎকার করছে এক ঝাঁক শঙ্খচিল।
এখন সবকিছুই যেন থমকে গেছে
সবকিছু যেন বিস্তৃত সমুদ্র আর,
পাহাড়ি ইসপাত কঠিন বরফে মোড়া এই ভূস্বর্গ।
পশ্চিমে ঢলে পরা কালের হলুদ বর্ণের সূর্যরশ্মি
বালুর মেঘ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।
চাঁদের বিকীরণ আর সূর্যের মেলবন্ধনে,
এ যেনো আফ্রোদিতির ভালোবাসার স্বর্গ।
‘মে’ এর কি এক ঠান্ডা বাতাসে হতভম্ব মানুষ,
পাহাড়ি তুষার ঢেউয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ কালের,
অগ্রযাত্রা ইতিহাস-ঐতিহ্য নগর-বন্দর গ্রাম।
আজ আর কোনো দিন নেই,
আজ আর কোন রাত নেই এ যেন এক নতুন দিগন্ত
চোখ মেলে তাকিয়ে আছে মহাজাগতিক এক বলয়ের মধ্যে।
পাশ দিয়ে বয়ে চলছে স্যেদ বিহীন নিপুণতার জনবিরল এই মহাসড়ক
পথে-প্রান্তরে ঝাঁক ঝাঁক মেষপাল দলবেঁধে ছুটে চলা।
কেফলাভিক জনবিরল বিমানবন্দর ছেড়ে
দীর্ঘযাত্রার পথ বেঁয়ে আমরা যেন নেমে এসেছি এক মহাজাগতিক স্বর্গের অন্যতম দ্বারপ্রান্তে।
আজ আর কোন কবিতা নয়
কবিতাও নেই; কবিতারা যেনো,
ছুটে চলেছে কোন এক অজানা উদ্দেশ্যে।
আমি কিছুটা নিরব হয়ে অপেক্ষা করছি,
পৃথিবীর এই উন্মত্ত কোলাহল ঢেকে,
ভেসে উঠবে কোন এক নিঃশব্দ আকার,
যাকে আমি আলোকিত করব।
আকাশ দেব, নতুন মাত্রা দেবো,
নতুন তাল দেবো ভাষা দেবো সুর দেবো।
যা কিনা কোন এক যাযাবর শিল্পীর কন্ঠে,
চল্লিশ হাজার বর্গমাইলের এই জনবিরল স্থান।
সুমধুর সুরেলা গানে ছড়িয়ে দেবে ক্যানেরি,
যার সত্যতা খুঁজবে একটি প্রাচীন ফিনিক্স পাখি,
লেইফ এরিকসন শুনছো কি,
তুমি আমি এটা করবোই করবো।