আবারও কাদিজের জালে বন্দি বার্সেলোনা
লিগের ১ম পর্বের দেখায়ও কাদিজের কাছে হেরেছিল বার্সা। এবার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্য ছিল রোনাল্ড কোম্যান বাহিনীর। তবে লিগের দুর্বল প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে এবারও পেরে উঠলোনা মেসিরা।
লা লিগায় টেবিল টপার অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আগেরদিন হেরেছে। বার্সেলোনার সামনে সুযোগ ছিল তাদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর।
সঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে টেবিলের ২-এ উঠে আসার সুযোগও ছিল। তবে সব খোয়ালো কাতালানরা। কাদিজ বাধায় আবারো আটকে পড়ে পয়েন্ট হারালো।
সঙ্গে হারালো উপরোক্ত সুযোগগুলোও। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। কিন্তু মেসি-দেম্বেলে-গ্রিজম্যান সবাই ব্যর্থ কাদিজের গোলপোস্ট খুলতে।
৩১ মিনিটে ভাঙে ডেডলক। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। কাদিজের বিপক্ষে এই প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি।
এ নিয়ে লা লিগায় খেলা ৪০টি ক্লাবের মধ্যে ৩৮টির বিপক্ষে গোল করলেন লিও। লিগে নিজের ১৬তম গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার লুইস সুয়ারেজকে ছোঁন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। বার্সা অধিনায়কের জন্য ম্যাচটি ছিল আরো একটি মাইলফলক ছোঁয়ার। ক্লাব কিংবদন্তি জাভিকে ছাড়িয়ে এদিন বার্সার হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন মেসি। তার এনে দেয়া লিড ধরে রেখেই আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছিলো কাতালানরা। তবে দেম্বেলে-গ্রিজম্যান বারবার ব্যর্থ হন।
ত্রিনকাও, পুইগ, ব্র্যাথওয়েটকে নামিয়েও লিড বাড়াতে পারছিলোনা বার্সা।
উল্টো ম্যাচের একেবারে শেষ মূহুর্তে পেনাল্টি পায় কাদিজ। ৮৭ মিনিটে পাওয়া সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অ্যালেক্স ফার্নান্দেজ। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু'দল। ২০টিরও বেশি শট আর ৮০ শতাংশেরও বেশি সময় বল দখলে রেখেও জয় আদায়ে ব্যর্থ কোম্যান বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট হারিয়ে টেবিলের ৩-এই থাকতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে।