একুশের গৌরব
-কেয়ন ইমরান
অরণ্য পানে তাকিয়ে আমি-
ওহে বৃক্ষ, তব পুষ্প কেমনে হইল অরুণ?
লেগেছে কি তাহাতে রবি কিরণ
কৃষ্ণচূড়া তব শাখে রঞ্জিত আভা-
আজি কী তবে বহিবে কোন সভা!
কলকণ্ঠের মন মাতানো কুহু কুহু রব-
এই তো সেই সময়! এই সেই বসন্ত!
মায়ের ভষ্মিত হওয়া সেই দিনের বিত্ত-বৈভব।
বাকরুদ্ধ হালে থাকিতে না চাহি-
তাই তো ভ্রাতাগণ ঝাঁপিয়ে পড়িনু রাজপথে।
রচিয়া কুরুক্ষেত্র প্ল্যাকার্ড লয়ে হাতে।
মুহূর্তে নরপশু করিনু মায়ের বক্ষ রিক্ত,
ভাইদের শোণিতে তখনি রাজপথ হইল সিক্ত।
একথা শুনি মায়ের চোখে অশ্রু নয় ঝরিনু দাবানল।
এই সেই একুশ! ইতিহাস হয়ে আছে জীবন্ত!
সেই দিন মায়ের নেত্রবারিতে ভাষা শত্রু হননের ইচ্ছে ছিল প্রবল।
অবশেষে হইল মায়ের জয়-
সর্বনাশা মৃত্যু নেশায় কাঁপিলো না ভাইদের হৃদয়।
শত মায়ে হারিয়ে নয়ন মণি,
পাইলো ফিরে বাংলা ভাষার ধ্বনি।
ভাষার তরে আজিকে মোরা নয় তো কারো দাস,
জীবন দিয়ে ভাইয়েরা গড়েছে সে ইতিহাস।
তাই তো মায়ে গর্বিত! তার সন্তান বীরকান্ত!
ভাষা শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে করেছে বিনাশ।