- 0
- 0
ম্লান হয়ে যাচ্ছে আশাশুনির শ্রীউলার উন্নয়ন!

আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে উন্নয়নের ধারা অকল্পনীয় ভাবে এগিয়ে গেলেও ঘুর্ণিঝড় আম্ফান চরম ক্ষতিকর হয়ে দেখা দিয়েছে। উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডকে নিশ্চিহ্ন করার পাশাপাশি ইউনিয়নবাসীকে চরম বিপত্তিকর পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে।
শ্রীউলা ইউনিয়ন আশাশুনির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও অবহেলিত এলাকার অন্যতম হিসাবে বিবেচিত ছিল। ছিলনা যাতয়াতের সুব্যবস্থা- পায়ে হেটে, নৌকায় চড়েই সকলকে যাতয়াত করতে হতো। প্রত্যন্ত বিলের মাঝে, খালের বেষ্টনিতে, নির্জন মাঠের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আবাসস্থল ছিল।
পিতার ২৬ বছরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের উত্তরাধিকারী সূত্রে বর্তমান চেয়ারম্যান ১৮ বছর আগে ইউনিয়নের কান্ডারী হিসাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই থেকে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে নতুন মাত্রা শুরু হয়। যৌবনের প্রাণচাঞ্চল্যকর পদচারণা, নতুন ইমেজে যুবকদের পাশাপাশি বয়স্ক ও শ্রদ্ধাভাজনদের সাথে নিয়ে তিনি পরিষদের কাজ করতে থাকেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রে জানাগেছে, তার হাত ধরে ইউনিয়নে ২২ গ্রামের মধ্যে ২০টি গ্রামের সাথে মেইন সড়কের সংযোগ রাস্তা পাকাকরণ, (বাকী দু’টি বয়ারসিং ও লক্ষ্মীখালী গ্রামের মাটির কাজ চলছে) মাড়িয়াল মৎস্য সেট হতে হাজরাখালী, পুইজালা বৌদির ঘাট হতে হাটখোলা, বাশতলা ব্রীজ হতে মহিষকুড় সড়ক কার্পেটিং, কাকড়াবুনিয়া ওয়াপদা রাস্তা, শ্রীউলা ওয়াপদার রাস্তা, বকচর রাস্তা, থানাঘাটা-বিল বকচর রাস্তা, পুইজালা স্বপন ডাক্তারের বাড়ি হতে পাকা রাস্তার কাজ করা হয়েছে। শ্রীউলা, কাকড়াবুনিয়া, পুইজালা ও বিজিএম ফুটবল মাঠ ভরাট করা হয়েছে। ৬টি সাইক্লোন শেষ্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মীত হয়েছে। দু’টির কাজ চলমান রয়েছে।
গাজীপুর আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। নায়েব অফিস, মহিষকুড় উত্তর পাঞ্জেগানা পুকুর খনন এবং জেলা পরিষদের শ্রীউলার মোল্যাবাড়ী ও মংলার পুকুর খনন হয়েছে। কাকড়াবুনিয়া, নছিমাবাদ, কলিমাখালী, পুইজালা (২টি) ও মহিষকুড় ব্রীজ নির্মান হয়েছে।
ইউনিয়নের সকল ছোট ছোট মাটির রাস্তা ও অসংখ্য ইটের রাস্তা হয়েছে। ২২ গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবে গৃহ নির্মান/সংস্কার, মাটি ভরাট, শহীদ মিনার নির্মান, টাইলস এর কাজ, বৃক্ষরোপনের কাজে সরকারি সহযোগিতার অন্তনেই। সরকারি সকল প্রকার সহায়তা ইউনিয়নের এমন কোন অসহায় মানুষ নেই যাদের কাছে নিয়ম মেনে পৌছান হয়নি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হিসাবে চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে ইউনিয়বাসীর কল্যাণে নিবেদিত থেকে কাজ করে এসেছেন। ইউনিয়নটি সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্পর্শে জাজ্বল্যমান হয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু প্রতি বছর সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইউনিয়নটিকে বাধাগ্রস্ত ও তছনছ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে গোটা ইউনিয়নের সকল রাস্তাঘাট, প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, ফসল ও মৎস্য চাষের ক্ষেত্রকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।
মানুষ চরম বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কয়েকজন মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইমামসহ এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, ইউনিয়নটির আকাশ ছোঁয়া উন্নয়ন, অসহায় মানুষের জীবনে উদ্বেগহীন পদচারনা এবং সকল ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় ছিল।
কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত ও গতিরোধ করতে নানা সময় নানা ভাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে এসেছে।
এমনকি তাকে, পরিবারের সদস্য ও সহযোগিদের হত্যার চেষ্টা, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট হয়ে দক্ষতা ও ন্যয়নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে চলেছেন। তারা মহান আল্লাহর কাছে তার শুভ কামনা ও নিরাপদ জীবন প্রার্থনা করেন।
সম্পর্কিত সংবাদ
- 1
- 0