- 0
- 0
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান আর নেই

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান আর নেই।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মিজানুর রহমান খানের ছোট ভাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের নামাজে জানাজা আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান খানের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ২ ডিসেম্বর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
সেখানে সমস্যা বাড়লে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান তার প্রায় ৩ দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। আইন ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকতায় তার ছিল অসামান্য অভিজ্ঞতা।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখি করেন। উল্লেখযোগ্য বই সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, ১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মেনন বলেন, তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিশেষ করে আইন-আদালত বিষয়ে রিপোর্টিং ও প্রতিবেদন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পিছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে তিনি মার্কিন এবং ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত দলিলসমূহ সংগ্রহ করেন এবং যার ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি দেশবাসীর সামনে আসে।
কিন্তু দুভার্গ্যজনক যে তিনি এত স্বল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন যার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হবে। রাশেদ খান মেনন তার পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন।