- 0
- 0
শিক্ষায় ‘লক-ডাউন’ কবে খুলবে ?

বছর ব্যাপী করোনা সংক্রমণের প্রভাবে এখন পর্যন্ত সবচে’ বেশী ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা। বাংলাদেশ তো বটেই সমগ্র বিশ্বের অবস্থা তথৈবচ।
বিগত ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ বন্ধ রয়েছে। দেশে প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে। বিকল্প শিক্ষা হিসেবে অনলাইন শিক্ষা চালু করলেও শতকরা ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী রয়েছে এর বাইরে।
এমতাবস্থায় বেশ কিছুদিন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি চলছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু সরকার সে কথায় কর্ণপাত করেনি। করোনার চরম মুহূর্তে এক সময় সারাদেশ ‘লকডাউনে’ থাকলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিবেচনায় একে একে সব কিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। শুধু মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ বেশী হবে এমন একটা ধারণা। প্রতিদিন লঞ্চ-স্টীমার, বাস-স্ট্যান্ড, হাট-বাজার, নগরে,বন্দরে, সভাস্থলে, ওয়াজ-মাহফিলে, জানাজায় শত-সহস্র, এমনকি লক্ষ লক্ষ জনতা সমবেত হলেও ব্যতিক্রমটা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। উল্লেখিত স্থান সমুহে জন সমাবেশে স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই থাকে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রি বাহাদুরের ভাষ্যমতে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে সংক্রমণের হার ও কমে গিয়েছে। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায় ? অন্যান্য স্থানের তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি মানা অনেকটাই সহজ। এপর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরন হতে অনেক সময় লাগবে।
তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়াটা এখন জরুরী।
বিগত বছরে দেশের হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ন্যুনতম টিউশন ফিস আদায় করতে পারেনি। বছরের শুরুতে যেটা আদায় করা হয় বন্ধের কারণে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। প্রতিষ্ঠানের নৈমিত্তিক দেনা-পাওনা মেটাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
টিউশন ফিস নির্ভর হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শিক্ষার অকাল দশা ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সম্পর্কিত সংবাদ
- 1
- 0