- 0
- 0
পাইকগাছায় ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় আটক ১

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও পরে প্রস্তাব প্রত্যাখানের অভিযোগে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় খায়রুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামে। পুলিশ রবিবার সকালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আটক খায়রুল উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের সামাদ গাজীর ছেলে।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, প্রায় ৭ বছর পুর্বে একই গ্রামের শেখ শহীদুল ইসলামের মেয়ে (২২) এর সাথে কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার সময় খারুলের সাথে পরিচয় হয়। এর পর কলেজে ওঠার পর আসা-যাওয়ার পথে খায়রুল তাকে প্রেম নিবেদন করত। এর পর তাকে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। পর্যায়েক্রমে খায়রুল বিভিন্ন সময়ে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর খায়রুলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এক পর্যায়ে সে বিয়ের দাবিতে খায়রুলের বাড়ীতে উঠলে সে নানা অপকৌশল অবলম্বন করে নানা চাতুরীতার আশ্রয় নেয়।
এ ঘটনায় আপোষ মিমাংসা না হওয়ায় ভিকটিম শেষ পর্যন্ত খায়রুলের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় ধর্ষন ও অপহরণের অভিযোগে ৭/৯ (১) ২০০০ নারী শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ২০০৩ আইনে খায়রুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে, যার নং-৮।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, এ মামলার আসামী খায়রুলকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে সোর্পদ ও ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবারই উভয় পরিবারের সম্মতিতে পাইকগাছা নোটারী পাবলিকের এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা বিয়ে করে আদালতে দাখিলপূর্বক জামিনের আবেদন করলে আদালত খায়রুলের জামিন আবেদন নাকচ করে জেল-হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এব্যাপারে ভিকটিমের পিতা শেখ শহীদুল ও খায়রুলের পিতা সামাদ গাজী জানান, ইতোমধ্যে ছেলে-মেয়েদের তারা বিয়ে দিয়ে বিষয়টির আপোষ-মিমাংশা করে নিয়েছেন। যেকোন দিন মামলার বাদী আদালতে স্বামী খায়রুলের জামিন আবেদন ও মামলাটি নিষ্পত্তির আবেদন করবেন।
সম্পর্কিত সংবাদ
- 0
- 0