- 0
- 0
আসুন জেনে নেই কলমি শাকের পুষ্টিগুণ ও উপকার সম্বন্ধে

কলমি শাক কে না চেনে! অত্যন্ত পরিচিত, সস্তা ও সহজলভ্য কিন্তু নানাবিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই শাক।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি,সি,ক্যালসিয়া, লৌহ, ভিটামিন -বি১ ও থায়ামি। জেনে নেওয়া যাক কলমি শাকের কিছু পুষ্টিগুণ—
# কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যা এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।একই সাথে আমাদের দাঁত,মাড়ি ও পেশি মজবুত করে।
# কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।কলমিশাকের দুই চামচ রস একটু গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
# কলমি শাকে থাকা ভিটামিন-বি১ স্নায়ুতন্ত্রকে সবল ও স্বাভাবিক রাখে। দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধনে সাহায্য করে।
# কলমি শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন যা থেকে আমাদের দেহে ভিটামিন-এ তৈরি হয়। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ভিটামিন-এ এর ভূমিকার কথা কে না জানি!
# কলমি শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম আর ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত করে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের জন্য এটি অত্যন্ত উপকার। কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় ও শিশু বেশি পরিমাণে দুধ পায়।
# হাত-পা বা শরীর জ্বালা করলে কলমী শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
# কলমিশাকের পাতা ও কাণ্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকে। আঁশ খাদ্য হজম, পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কলমিশাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
#মহিলাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সমস্যায় দ্রুত কাজ করে কলমিশাক। ঋতুশ্রাবের সমস্যা দূরীকরণে কলমি শাক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
# যাদের মাঝে মাঝে বিনা কারণে মাথাব্যথার সমস্যা আছে, তারা কলমি শাক খেলে উপকার পাবেন। অনিদ্রা দূরীকরণেও কলমি শাক খেতে পারেন।
#রোগীর পথ্য হিসেবেও কলমি শাকের রয়েছে কার্যকরী ভূমিকা। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় এটি শারীরিক দূর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে ও রোগীকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে সাহায্য করে।
#আমাশা হলে কলমী পাতার রসের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে আমাশার উপশম হয়।
#যদি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা-যন্ত্রণা হলে কলমী শাকের রস করে ৩/৪ চামচ পরিমাণ ৩ সপ্তাহ খেলে ওই জ্বালা কমে যায়।
#হাত-পা বা শরীর জ্বালা করলে কলমী শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
# পিঁপড়া, মৌমাছি, বিছা বা কোন পোকা-মাকড় কামড়ালে এই কলমী শাকের পাতা ডগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।
নানাবিধ গুণে গুণান্বিত এই কলমি শাক। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে ঔষধি গুণ অথচ হাতের কাছেই পাওয়া যায়! তবে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কলমি শাক এড়িয়ে চলাই ভালো।