- 0
- 0
গাড়ি চুরি ও দোকান লুট চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

গাড়ি চুরি ও দোকান লুট চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিদ্দুকুর রহমান, নুরু মিয়া, হেমায়েত হোসেন ওরফে হিমু ও আবুল বাশার।
শনিবার গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় ডিএমপি গোয়েন্দা অফিস কম্পাউন্ডে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় চুরির ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ উক্ত মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। সেই মামলার সূত্র ধরেই এ চক্রের চার জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম।
তিনি বলেন, এ চক্রের মূল কাজ হলো গাড়ি ছিনতাই। ছিনতাইকৃত গাড়ি দিয়ে ঢাকার আশেপাশে আশুলিয়া, গাজীপুর ও ঢাকার উত্তরায় বাজার ও দোকান-পাট লুট করে। এই চক্রের আরও কিছু সদস্য আছে। তাদের কাজ হলো রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাইভেট কার কিংবা মোটরসাইকেল ছিনতাই করা। সেই গাড়িটি তারা ছিনতাই ও চুরির কাজে ব্যবহার করত। চুরি ছিনতাই এর কাজ শেষ হলে নিজেরা বাঁচতে কোন এক নির্জন স্থানে গাড়ি ফেলে রেখে চলে যেত এ চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ছিনতাই করে। গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানপাটে চুরি ও ছিনতাই করত। চুরি-ছিনতাই করাকালে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য তারা রাতের বেলা বেছে নেয়। রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে মোবাইল দোকানগুলোতে চুরি করত চক্রটি। কোন দোকানে চুরি করলে সবকিছু নিয়ে নিত।
গাড়ি চুরি বা ছিনতাই রোধে গাড়িতে ট্র্যাকার মেশিন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানান ডিবির এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারি পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা অত্যন্ত কৌশলে দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে গাড়ীর মালিকদের গাড়ী কোথায় রাখে, কোন দোকান ও বাড়ীতে নিরাপত্তাকর্মী নেই। পরবর্তী সময়ে ওই চক্রটি গভীর রাতে বা সুবিধামতো সময়ে কার্টার দ্বারা বিভিন্ন বাড়ী ও দোকানের তালা কেটে টাকা, গাড়ী, মোবাইল সহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে দ্রুত গাড়ীযোগে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, একটি মোটরসাইকেল, একটি তালা কাটার কার্টার, একটি ল্যাগেজ, ১৯ টি কাটা তালা, ছয়টি অ্যান্ড্রয়েড ডেমো মোবাইল ফোন, ১৬ টি এয়ারটেল সিম, দুইটি ডেবিট কার্ড ও চারটি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।