- 0
- 0
শিশুদের নিয়ে কাব্য

শিশুদের নিয়ে কাব্য
-জাহাঙ্গীর আলম কবীর
কে নেবে দায়িত্ব বলো? কে নেবে দায়িত্ব?
একই সুরের প্রতিধ্বনি শুনে আসছি বংশানুক্রমে
কান্না বিজড়িত করুণ গলায়।
তাই প্রশ্ন ওঠে, শিশুদের অধিকার নিয়ে এতো প্রহসন কেন?
ওরাই তো বলে, থামাও থামাও এই শিশু অপচয়
আহা, এই শিশু অপচয়!
দরদেতে ভেঙে যায় বুক
চোখের কোণে ভেসে ওঠে শ্রাবণী আকাশ
অবশেষে বৃষ্টি পড়ে টুপ-টাপ টুপ-টাপ
সিক্ত করে পীড়িত হৃদয়, অনাবিল;
আহা! এ যেন গাল ভারি বাত কি বাত।
ফুলের কুঁড়ির মতো অনিন্দ্য সুন্দর শিশুগুলো
সুসম্পূর্ণ ফুল হয়ে ফোটার আগেই
একটু একটু করে
পাঁপড়ি মেলেছে কল-কারখানায়
পাঁপড়ি মেলেছে মাটির তলায়, খনির গুহায়
পাঁপড়ি মেলেছে বাগবাগিচায়
পাঁপড়ি মেলেছে দোকান হোটেল রেস্তোঁরায়
পাঁপড়ি মেলেছে মাছ ধরা ট্রলার নৌকায়
ইস্টিশানে নৈশ ক্লাবে পতিতালয়ে।
আহ! এ যেনো অলিভার টুইস্টের নিয়ন্তার যুগ
শিশু-শ্রম ভারাক্রান্ত রঞ্জিত সময়।
সুচতুর মতলব বাজ লুটেরারা
সমুদ্র বিহারী হাঙ্গরের মতো মুখ ব্যাদান করে থাকে
সুযোগ পেলেই ছিঁড়ে খায় শিশুর নরম মাংস
সুযোগ পেলেই স্নান করে শিশুর তরল রক্ত-ঘামে।
তবু পরম ভালোবাসায় চরম তৃপ্তিতে ওরা
পৃথিবীর মাঠে মাঠে বীজ বোনে
সোনালি ফসল ঘরে তোলে
কাজ করে নগরে প্রান্তরে
গ্রাম গঞ্জে
খালে বিলে
ওরা কর্ম-উৎসবের এক ঝাঁক দুরন্ত চড়ুঁই;
তবু এতো তপ্ত শ্রম
শিশুদের মুখের হাসি হয়ে ফুটছে না
নরম মনের আশা হয়ে জ্বলছে না।
এভাবেই শিশুদের রক্তে গড়া শান্তি ফোটে;
কোথাও কোনদিন দেখিনি তো ওদের মধুর অধিকার
শুধু স্বপ্ন মাখা পথটা
ঘামে ঘামে একাকার।
যদি কোনদিন নব-জাতকেরা প্রশ্ন তোলে
সব আঁধার বলয় ভেঙে চুরে,
হে সমাজ রাস্ট্র! কি দিয়েছো আমাদের?
লজ্জায় আড়ষ্ট হবে মুখ
বিবেকের কাঠগড়ায় আসামী হবে।
ঈশাণ কোণেতে লাল মেঘ;
শিশুদের প্রতিবাদের ওঙ্কারে ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে
অনুশাসনের কঠিন বাঁধন।
সম্পর্কিত সংবাদ
- 0
- 0