- 0
- 0
সেই সড়কে রিকশা ঠেকাতে এবার যৌথ অভিযানে মেয়র ও পুলিশ

সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা, হাতা গাড়ি, ভ্যান ও লেগুনা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
১ জানুয়ারি থেকে এমন নির্দেশনা কার্যকরের কথা জানিয়েছিলেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তবে মেয়রের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই এই সড়কে গত দুদিন চলাচল করেছে রিকশা-ভ্যান। রিকশা ঠেকাতে পুলিশেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি গত দুদিন।
তবে রবিবার (৩ জানুয়ারী) সকাল থেকে যৌথ অভিযানে নেমেছে সিসিক ও সিলেট মহানগর পুলিশ। নগরের কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ ও সিসিক।
বিকেলে সিসিক-মহানগর পুলিশের যৌথ অভিযানে এই সড়কে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় অযান্ত্রিক সেসব বাহনের চলাচল। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযান শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা নগরবাসির সহযোগিতায় এই সড়কের ফুটপাত থেকে হকারদের সরিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা এই সড়কটিকে একটি মডেল সড়কে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে অযান্ত্রিক বাহনের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনার পর গত দু-দিন আমরা পর্যবেক্ষন করেছি। আশা করি মহানগর পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবং নগরবাসির সহযোগিতায় এই সড়কে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে রিকশা চলাচল।
সিসিক মেয়র বলেন, যৌথ অভিযানে অনেককেই দেখেছি রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো। নগরবাসিকে রাস্তায় চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে গাড়ি পার্কিং থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে বাই লেন থেকে কেউ যেন রিকশা, হাতাগাড়ি, ভ্যান ও লেগুনা নিয়ে না আসেন সে আহবানও জানান সিসিক মেয়র।
মহানগর পুলিশের উপ-কশিনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, সিলেট নগরকে সুন্দর ও যানজটমুক্ত করতে সিসিকের নেয়া এই উদ্দ্যোগে এসএমপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না জানান তিনি।