- 0
- 0
পাথরঘাটায় আ’লীগের বিপক্ষে চার মেয়র প্রার্থী

আসন্ন পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে আ'লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে বাকি চার মেয়র প্রার্থী। রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আকন এই ঐক্যবদ্ধতাকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রতীক পাওয়ার আগেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা মাঠে নেমেছে। নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। সরকারের সুষ্ঠ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য তারা আজ ঐক্যবদ্ধ। আমি গত ১০ বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র, আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করেছি তাই জনগন আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।
ঐক্যবদ্ধ চার প্রার্থীরা হলেন, বিএনপির সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের সাহাবুদ্দিন সাকু, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ আলম মল্লিক, সতন্ত্র প্রাথী পাথরঘাটা উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও মাহবুবুর রহমান খান। ঐক্যবদ্ধ ৪ প্রার্থীর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, তাদের ঐক্য আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের ভোট নিশ্চিত করার জন্য। যাতে করে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে কোন অপশক্তি ভোট কাটতে না পারে তা প্রতিহত করা।
তার দাবি, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিভিন্ন গ্যারেজ থেকে ৫টি পুরনো মোটর সাইকেল ক্রয় করেছে। ওই মোটরসাইকেল গুলো পুরিয়ে দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, পৌরসভা নির্বাচনে পাথরঘাটায় যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারের যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এবিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা জানান, পাথরঘাটায় নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন তদবির উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে এবং আইন লঙ্গনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। অনেকের বিরুদ্ধে একাধীক মামলার অভিযোগ থাকলেও যাচাই-বাছাই শেষে প্রত্যেকের মনোনয়পত্রের বৈধতা ঘোষনা করে রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা।