- 0
- 0
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ১৪টি নতুন বিধিনিষেধ

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ১৪টি নতুন বিধিনিষেধ। দেশের সর্বশেষ ছেড়াদিয়া দ্বীপে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে বারবিকিউ করাও এখন হয়ে গেছে নিষিদ্ধ। সেন্টমার্টিনের বিরল জীববৈচিত্র রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
গণবিজ্ঞপ্তি থেকে জানানো হয়, দেশের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন সরকারঘোষিত সঙ্কটাপন্ন এলাকার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। পর্যটকদের দায়িত্বহীনপূর্ণ আচরণ, পরিবেশ, প্রতিবেশেরপ্রতি অবহেলা সেন্ট মার্টিনের ইকোসিস্টেম আর জীব-বৈচিত্র্যকে করেছে বিপর্যস্ত।
সেন্টমার্টিনের পাখিদের চিপস খেতে দেয়াও হয়ে গেছে নিষিদ্ধ।পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ৪ ধারা অনুযায়ী দ্বীপ ভ্রমণে ১৪টি বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ ভাঙলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।
দ্বীপের সৈকতে সব ধরনের যান্ত্রিক -অযান্ত্রিক সকল ধরনের যান পরিচালনায় এসেছে নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক ফেলা নিষিদ্ধ, পশ্চিম প্রান্তের সৈকত কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ প্রান্তের সৈকত গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে পরিভ্রমণ, জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা, দ্বীপের চারপাশে নৌভ্রমণ করা, সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানে চলাফেরা করা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা, সৈকতে রাতের বেলা আলো জ্বালানো, আতশবাজি পোড়ানো, উচ্চশব্দে গানবাজনা করা, মাইক বাজানো ও বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
এ ছাড়া প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক পাখি, তারামাছ, কাছিম, রাজ কাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না। জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস এবং কোনো রকম খাবারও খাওয়ানো যাবে না। দ্বীপে পানির অপচয় না করা এবং দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এসব অপরাধ দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।